আদালতের চার জনের ১৪ দিনের হেফাজতে নিতে চাইল সিবিআই
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চার তৃণমূল নেতার জামিনে মুক্তি হল অবশেষে। এদিন আদালতে চার নেতাকে ১৪ দিনের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল সিবিআই।
সোমবার সকাল থেকে বিশেষ নজর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখার্জী, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বেলা গড়াতে তাঁদেরকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়।
তবে শুধুমাত্র এই চার নেতা কেন? একই অভিযোগে অভিযুক্ত আরও দুই বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা কেন নেওয়া হল না? প্রশ্ন উঠেছে একাধিক মহলে। স্ট্রিং অপারেশনের মাস্টারমাইন্ড স্যামুয়েল ম্যাথুও একই প্রশ্ন তুলেছেন৷
সিবিআইয়ের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টাকা ধার নিতে গিয়ে ধরা পড়ছেন জনপ্রতিনিধিরা। তদন্তের পর এদের ওপর বিচার প্রক্রিয়া চালানোর জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। ৭ মে সেই অনুমতি পাওয়ার পরেই সোমবার চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তৃণমূলের তরফে আরও দাবী করা হচ্ছে, একই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধকারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা কেন নেওয়া হল না? এক্ষেত্রে সিবিআইয়ের সূত্রে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় নয়, আরও কয়েকজন সাংসদ কাকলী ঘোষ দোস্তিদার, সৌগত রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার এবং সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের জন্য লোকসভার স্পিকারের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অনুমোদন মেলেনি।
সিবিআইয়ের তরফে দাবী করা হয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও উপযুক্ত তথ্য, প্রমাণের অভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি তাঁর বাড়িতে প্রাক্তন পুলিশ অফিসার এসএমএইচ মির্জাকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুণঃনির্মাণের চেষ্টা করা হলেও উপযুক্ত তথ্য মেলেনি।
সোমবার সকাল থেকে নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। এরপর রাজভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ছয় ঘন্টা পর নিজাম প্যালেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।