CBI এর আর্জি খারিজ, মামলা চলছে হাইকোর্টে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিরতির পর শুরুতে গোটা বিষয়টি জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল।আবার শুরু থেকে শুনানি শুরু করলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। ১৭ মে চার নেতাকে গ্রেফতার। ঘটনার বিরোধীতা করে মুখ্যমন্ত্রীর সিবিআই অফিসে হাজির।
সিবিআই অফিসের বাইরে জমায়েত করা। পাথর ছোঁড়া হয় সিবিআই অফিসের বাইরে। একই সময়ে মন্ত্রীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যাতে চার নেতাকে শারিরিকভাবে চার নেতাকে আদালতে না নিয়ে যাওয়া হয়।ঘটনাটি এতটাই হাতের বাইরে যেতে শুরু করে যে ঘটনার কপি আদালতে পেশ করা সম্ভব হয়নি।আমরা আদালতে সেভাবে তথ্য প্রমাণ করতে পারিনি।
CBI হাজির হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে, যা অত্যন্ত দুঃখজনকঃ সিঙভি
গোটা ঘটনার কথা মাথায় রেখে সিআরপিসি ৪০৭ ধারার কথা উল্লেখ করে মামলা ভিন্ন রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয়৷শুধুমাত্র সিআরপিসি ৪০৭ নয়, সিআরপিসি ৪৮২ এবং ২২৬ ধারার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
সিবিআই শুধুমাত্র জামিনের আবেদন খারিজের আর্জি জানাচ্ছে না, বরং সুস্পষ্ট বিচার প্রক্রিয়ার আর্জি জানাচ্ছে। বেঞ্চের এক বিচারপতি বলেন, সিবিআই ১৭ তারিখের শুনানিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতাদের আন্দোলন চাননি।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্টে CBI
সিআরপিসি ৪০৭ নম্বর ধারা অর্থাৎ মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তর নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরে চলে বাদানুবাদ। তবে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, এভাবে সিআরপিসি ৪০৭ লাগু করা যায় না। তা লাগু করতে হলে এভিডেভিট জমা দিতে হবে।
সিবিআইয়ের অনুরোধে ভার্চুয়ালি মামলার শুনানি হয়েছিল। সেখানে আদালতে শুনানি চলাকালীন কোনরকম বিরোধ বা অশান্তির উল্লেখ নেই।৪০৭ ধারা ব্যবহার করে জামিন পাওয়া নেতাদের কী স্থগিতাদেশ দেওয়া যায়?অভিযুক্তদের বক্তব্য না শুনে রায় ঘোষণা করা কী সুবিচার হবে? জামিনের আদেশে প্রাথমিকতা বিচার করলে দেখা যাবে জামিনের নির্দেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আসেনি।যার ফলে গ্রেফতার হতে হয়েছে অভিযুক্তদেরঃ সিংভি
সিংভিঃ কোনও মন্ত্রীর বা বিধায়কেত গ্রেফতারির ক্ষেত্রে স্পিকারের অনুমতির দরকার৷ এখানে সিবিআই রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়েছে। ৫ মে থেকে ৯ মে সরকার গঠনের মাঝে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গোটা ঘটনার একটা প্রতিফলন ঘটে মুখ্যমন্ত্রী অভিযুক্তদের পরিবারকে নিয়ে সিবিআই দফতরে উপস্থিত হন। কোনও মন্ত্রী ভার্চুয়াল শুনানিতে বাধা দেয়নিঅভিযুক্তদের সশরীরে আনতে না পারার জন্য অন্য যুক্তি কেন আনা হচ্ছে? প্রশ্ন সিংভির। শুধুমাত্র একজন মন্ত্রী সমর্থকদের নিয়ে আদালতে হাজির হন।জানুয়ারিতে রাজ্যপালের কাছে চার্জশিট পৌঁছানোর পরেও কেন মে মাসে মামলার অগ্রগতি হল প্রশ্ন তোলেন সিদ্ধার্থ লুথরা।
সিনিয়র আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র বলেন, জামিনের আদেশের পর স্থগিতাদেশ করা যায় না। প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেন, এই কথা লুথরা এবং সিংভি আগেই বলেছিলেন। একই বিষয় নিয়ে বলার কিছু নেই।
ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি নিয়ে বলেন আইনজীবি কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। আবারও প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল বলেন, নতুন করে এবিষয়ে বলার কিছু নেই।