করোনা মোকাবিলায় রাজ্যকে সবরকম সাহায্যে প্রস্তুত কেন্দ্র, মমতার চিঠির জবাবে হর্ষবর্ধন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে ভ্যাকসিনের অভাব। তাই ভ্যাকসিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারই চিঠির জবাব দিল কেন্দ্র। তবে প্রধানমন্ত্রী নয়। চিঠির জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেই চিঠিতে জানিয়েছেন করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের পাশে রয়েছে কেন্দ্র। চার পাতার চিঠিতে লেখা হয়েছে করোনা মোকাবিলায় শুধু আর্থিক সাহায্য নয়, করোনা পরীক্ষার যাবতীয় সরঞ্জাম, ওষুধ, ভ্যাকসিন, মেডিকেল ডিভাইস প্রত্যেক রাজ্যেকে সরবরাহ করছে কেন্দ্র সরকার।
তিনি আরও জানিয়েছেন,
প্রতিশ্রুতি মত কেন্দ্র প্রত্যেকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের করোনা যোদ্ধা এবং ৪৫ বছরের ওপর যাদের বয়স তাদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত 1 কোটি 18 লাখ 83 হাজার 340 ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে। আরও 2 লক্ষ পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
Aamaar Sonar Bangla!
Diagnostics,therapeutics, medicines, oxygen,or augmenting health infra..
Rest assured @MamataOfficial Didi, whatever #WestBengal needs, Sh @narendramodi Ji’s Govt stands resolute to provide, in order to help it effectively fight #COVID19 pandemic@PMOIndia pic.twitter.com/jmJL9tfpkU
— Dr Harsh Vardhan (@drharshvardhan) May 7, 2021
ইতিমধ্যেই 18 লক্ষ 38 হাজার n95 মাস্ক এবং 4 লক্ষ 84 হাজার পিপিই কিট 1245 ভেন্টিলেটর এবং সাড়ে 43 লাখ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও পাঁচটি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যার মধ্যে দুটি অক্সিজেন প্লান্ট ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে।
Covid-19 Cases in India: চার লক্ষের গন্ডি ছাড়াল দৈনিক আক্রান্তেরর সংখ্যা
অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে 2400 অক্সিজেন সিলিন্ডার বরাদ্দ করা হয়েছে। চলতি মাসের 21 তারিখের মধ্যে পৌঁছে যাবে 700। 94 হাজার 400 ভায়াল রেমডিসিভির বরাদ্দ করা হয়েছে।
চিঠিতে একের পর এক বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরলেও এদিন করোনা পরীক্ষার হার কম নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি কেন্দ্র।
হর্ষবর্ধন লিখেছেন কয়েকটি জেলায় করোনা পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। যার কারণে সেইসব জেলাগুলিতে কোভিড পজিটিভিটি 40 শতাংশের বেশি। অবিলম্বে টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়ানো হোক। যে জেলাগুলি এখনো পিছিয়ে রয়েছে করোনা পরীক্ষায় সেসব জায়গায় বাড়ানো হোক পরীক্ষার সংখ্যা।