করোনা সংক্রমণ বাড়ার দায় কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারকে নিতে হবে: সোমেন মিত্র

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গণপরিবহন, দোকান বাজার খুলে দিয়ে সরকার রাজ্যবাসীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।

একইসঙ্গে তাঁর দাবি,গত ছয় মাস রাজ্য সরকার কোন সংবাদ মাধ্যমকে, কত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক।

তাঁর আরও অভিযোগ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কোরোনা অতিমারি এবং আমফান পরবর্তী সময়ে নগ্ন রাজনীতি করে দেশের গরিব মানুষকে খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে।

কংগ্রেস মনে করছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় লকডাউন শিথিল করার ফলে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সোমেন মিত্রের।

বিধায়কদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর, সাংগাঠনিক স্তরে রদবদলের সম্ভাবনা

তাঁর মতে, দুই সরকারেরই পাখির চোখ এখন একুশের বিধানসভা নির্বাচন। একে সামনে রেখেই রাজনীতি করছে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দল ।

তাঁর কথায়, দেশে যখন করোনা ভাইরাস দোরগোড়ায় তখন প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার ভাঙতে। আর এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে এবং রাস্তায় রাস্তায় গোল দাগ কেটে বেড়াচ্ছিলেন। অমিত শাহ বলেই দিলেন, কোরোনা মোকাবিলায় ভারত আমেরিকার থেকে ভালো জায়গায় আছে। কিন্তু তিনি এটা বললেন না যে দেশে কত সংখ্যক মানুষের টেস্ট হয়েছে, এবং আমেরিকার কত মানুষের টেস্ট হয়েছে। এটাও বললেন না যে, সংক্রমণের নিরিখে এখন বিশ্বে ভারতবর্ষ সাত নম্বরে আছে।

খেলা শেষ হওয়ার আগেই তো নিজেরাই জয় ঘোষণা করে দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা অভিযোগ সৌমেন মিত্রের।

তাঁর স্পষ্ট জবাব সারাদেশের মতো এ রাজ্যেও লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, প্রথমে মদের দোকান খুলে দেওয়া হল। এখন তো সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। বাস-ট্যাক্সি, অটোতে যেভাবে মানুষ গাদাগাদি করে যাচ্ছেন তা দেখে শিউরে উঠতে হচ্ছে। তাই করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি আরো অবনতির দায় নিতে হবে দুই সরকারকেই।

সম্পর্কিত পোস্ট