নিজের সংস্থার কাছেই হাতেনাতে ধরা পড়েছে কেন্দ্র, জিএসটি নিয়ে তোপ অমিতের

দ্য় কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার ক্যাগ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, জিএসটি কমপেনসেশন সেস ফান্ডের ৪৭ হাজার ২৭১ টাকা অন্য তহবিলে সরানো হয়েছে। জিএসটি চালু হওয়ার পরে রাজ্যগুলির রাজস্ব আগের থেকে কমে গিয়েছে।

সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার ওই ফান্ড থেকে রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেয়। সেই ফান্ড থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে শুনে হইচই শুরু হয় নানা মহলে।

রাজ্যগুলির বকেয়া জিএসটি নিয়ে ক্যাগ রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এক ট্যুইটে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপনের কারণ জানতে চেয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ক্যাগ রিপোর্টে প্রকাশিত হয় জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য ৪২,২৭২ কোটি টাকা তহবিলের কথা বেমালুম চেপে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সেখবর প্রকাশিত হলে শোরগোল শুরু হয়। আর দুর্বল বলে ছক্কা হাঁকাতে দেরি করেননি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/bjps-new-team-mukul-roy-tejasvi-surya-promoted-ram-madhav-gets-replaced/

এরই প্রতিবাদ করে ট্যুইটারে আমিত মিত্র লেখেন, ‘মোদি সরকার নিজেদের সংস্থার কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। ৪৭,২৭২ কোটি টাকার সেস ক্ষতিপূরণ তহবিলের কথা গোপন করেছে তারা। যা জিএসটি আইন ভঙ্গের সামিল। আমাদের কর সংগ্রহ নিয়ে ধোঁকা দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাছে রাজকোষ ঘাটতি লুকাতে একাজ করেছে তারা। লজ্জার ব্যাপার।’

জিএসটি-র প্রাপ্য নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের বিবাদ চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ কেন্দ্রের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মোদি সরকার। বদলে রাজ্যগুলিকে ঋণ গ্রহণের ছাড় দিয়েছে তারা।

কিন্তু রাজ্যের দাবি, ঋণ নিক কেন্দ্র। কারণ জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায় তাদের। তাই ঋণের দায় রাজ্যের ঘাড়ে ঠেলা অনুচিত।

যদিও শনিবার কেন্দ্রের তরফে এই তথ্যকে অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে জিএসটির টাকা অন্য খাতে পাঠানো হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট