কেন্দ্রের কথা ও কাজের মিল নেইঃ সৌগত

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার ১০১টি সরঞ্জাম আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কথা ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশকে আত্মনির্ভর করতেই এই পদক্ষেপ। আগামী পাঁচ-ছয় বছরে দেশীয় সংস্থাগুলিকে প্রায় চার লক্ষ কোটি টাকার বরাত দেওয়া হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল।

তৃণমূলের অন্যতম জাতীয় মুখপাত্র তথা তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রের কথা ও কাজের মিল নেই। বরং বহুক্ষেত্রে স্ববিরোধীতাই করা হচ্ছে।

এদিন তিনি বলেন, লকাডাউনের মধ্যেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। একইসঙ্গে অডিন্যান্স ফ্যাক্টারীগুলিকেও কর্পোরেটাইজ করার কথাও বলা হয়েছিল।

বাড়ছে সংক্রমণ, কী করনীয় নাগরিকদের জন্য মোবাইল বার্তা অভিজিতের

এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অত্মা নির্ভরতার কথা বলছেন। তবে উনি যদি সত্যিই চান দেশে এগুলি তৈরি হোক তাহলে তো অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টারীগুলিকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে এগুলিকে দুর্বল করা হচ্ছে কেন?

কেন দেশী সংস্থাকে উৎহসাহিত করার বদলে প্রতিরক্ষা খাতে ১০০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে? তাঁর মতে, কেন্দ্রের দুটি দাবিই বিপরীতমুখী।

কেন্দ্র বলছে, ২০২১-এর মধ্যে লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট, সাবমেরিন আর আমদানী করা হবে না। সৌগত রায়ের প্রশ্ন, এরমধ্যেই কী দেশে এগুলি তৈরির পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে।

একইসঙ্গে এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা নিয়েও মুখ খুলেছেন। উল্লেখ্য এদিনই ভারচুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে কৃষকদের জন্য নতুন প্রকল্প ‘কৃষি পরিকাঠামো তহবিল’-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এক লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ কথা ঘোষণাও করেন তিনি।

এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দমদমের সাংসদ বলেছেন, এত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা কেন করোনা কালে সংসদ বন্ধ থাকা অবস্থাতেই করা হচ্ছে। মোদি সরকারের আমলে বারংবার কৃষকদের উপর আঘাত নেমে এসেছে। নোটবন্দির আঘাতে এমনিতেই দেশের কৃষক সমাজের অবস্থা মৃতপ্রায়।

করোনা তাদের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘায়ের মতো করে নেমে এসেছে। আগামী দু’মাস কৃষকদের জন্য খুব খারাপ সময়। কারণ যারা খরিফ শস্য বুঁনেছেন তাদের হাতে কোনও কাজই থাকবে না।

এইসময় কৃষকদের পাশে থাকা দরকার।। কেন্দ্র কৃষকদের হাতে ছয় হাজার টাকা দিলেই তাদের ভবিষ্যত বদলে যাবে এমন ভাবার কারণ নেই।

তবে এই টাকা পেলে তারা উপকৃতই হবেন। তাই এর বিরোধিতাও অমরা করছি না। কিন্তু এতে কৃষকরা কতটা উপকৃত হবেন। বরং তাদের অবস্থার সমগ্রিক উন্নয়ন দরকার। তা নিয়ে কোনও আগ্রহ কেন্দ্রের নেই।

সম্পর্কিত পোস্ট