বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে অভিনব উদ্যোগ চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসবের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাংলার চার রাজনৈতিক দলের সদর দফতর থেকে মাটি এনে হচ্ছে প্রতিমা রাজনীতির নাগপাশ থেকে উৎসবকে দূরে রাখতে অভিনব উদ্যোগ চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির। বাস্তবে যা কখনোই হয়নি তাই এবার করে দেখালেন এঁরা।
উৎসবের আঙ্গিনায় তাঁরা মিলিয়ে দিলেন ঘাসফুল, পদ্ম, কাস্তে হাতুরি তাঁরা আর হাতকে। কি ভাঙছেন আরব্য রজনীর গল্প! এমনটা আবার হয় নাকি। বিশ্বাস করুন এমনটিই হয়েছে এই পুজো উদ্যোক্তাদের প্রাঙ্গনে।
এবার তাহলে গোটা বিষয়টা আরও একটু খোলসা করেই বলা যাক।
এ বছর চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন দুর্গোত্স ব কমিটির উদ্যোক্তারা আরও বড় আকারে পুজোর সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে দিলেন।
চলতি বছর চক্রবেড়িয়ায় ৭৫তম বছরের পুজো। আর কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মেনে চক্রবেড়িয়ার দুর্গাপ্রতিমা তৈরির মাটি নিয়ে এসেছে রাজ্যের প্রধান চারটি রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে।
যেদিন এই দুর্গোত্সথবের খুঁটিপুজো হয়, সেদিনই উদ্যোক্তারা কেউ গিয়েছিলেন ইএমবাইপাসের ধারে তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতরে, কেউ গিয়েছিলেন কংগ্রেসের বিধান ভবনে। আবার কেউ চলে যান সোজা আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/rajya-sabha-tv-picture-and-inconsistency-in-deputy-chairmans-statement-cannon-inauguration-for-pm/
কেউ গিয়েছিলেন মুরলিধর সেন লেনে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সদর দপ্তরেও। এই চার রাজনৈতিক দলের সদর দফতরের সামনে থেকে খুঁড়ে আনা হয়েছে মাটি। তাঁর সঙ্গে মেশানো হয়েছে মন্দির, মসজিদ, গির্জা ও গুরুদ্বার মাটি।
আসলে এই পুজো উদ্যোক্তারা এটা মানুষের কাছে তুলে ধরতে চান রাজনীতি হোক উৎইসব- বিভাজন মানুষের তৈরি। কিন্তু মায়ের কাছে সকলেই সমান।
রাজনীতিরও বিভেদ নেই, ধর্মেরও নেই। আর সে কারণেই মৃত্শিিল্পী সেই মাটির প্রলেপ দিয়েছেন চক্রবেড়িয়ার এ বছরের দুর্গাপ্রতিমার অঙ্গে।
উদ্যোক্তারা এমনও বলেছেন, রাজনীতির রং যাতে পুজোর আনন্দকে বিবর্ণ করতে না-পারে, সেজন্যই তাদের এই উদ্যোগ।
উদ্যোক্তাদের মতে, বাংলার সমাজ থেকে ধর্মীয় বিভাজন আর রাজনৈতিক হানাহানি নিশ্চিহ্ন করতেই এই প্রচেষ্টা।
পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তিমির সরকার বলেছেন, ‘বাংলার মানুষ রাজনীতি নিয়ে উত্সাহী। কিন্তু রাজনীতির চেহারা এখন যা দেখা যাচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। এখন এমন হয়েছে যেন ভিন্ন মত মানেই তিনি শত্রু। এটা তো বাংলার সংস্কৃতি নয়। সেটাই শোধরানোর একটা চেষ্টা করা”।