শুক্রবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে, বর্তমানে বাংলাদেশের উপকুল ও পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন এলাকার ওপর অবস্থান করছে। এর প্রভাবে, কলকাতা, উপকূলবর্তী দুই ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, ইতিমধ্যেই দফায় দফায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
কলকাতা শহরে বেশকিছু জায়গায় জল জমেছে। মধ্য কলকাতার আমহার্স্ট্র স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া অঞ্চলে হাঁটু জল জমার খবর পাওয়া গেছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাঞ্চলীয় উপমহানির্দেশক ডঃ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধায় জানিয়েছেন, আজও এই বৃষ্টি চলবে। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে হলদিয়া টাউনশীপ জলের তলায়। সেক্টর এইট, ক্লাস্টার টেনে ঘরের ভিতর কোমর সমান জল।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়ায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। এই ৬ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা। কলকাতা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, হুগলিতে কমলা সতর্কতা। এই ৬ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। কলকাতায় বইতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া
টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন মেদিনীপুর শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বুধবার রাত থেকেই নানা এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের বস্তি গুলিতেও জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে সরে গিয়েছেন। কয়েকটি এলাকায় বিষধর সাপের উপস্থিতি ঘিরে বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পেঁয়াজের যোগান বাড়াতে খারিফ মরশুমে ৯ জেলার ১৮০০ একর জমিতে পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান- এই তিন জেলার দু’এক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহওয়া দফতর জানিয়েছে। অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান জেলায়। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদে।
শুক্রবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহওয়া দফতরের খবর, শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু নদীর জল স্তর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।