নির্বাচনের আগে দলিত মুখ, বিরোধীদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াল কংগ্রেস
শুভজিত চক্রবর্তী
ক্ষমতায় এলে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে দলিত মুখকে বেছে নেওয়া হবে। পাঞ্জাবের নির্বাচনের আগে এমনটাই টোপ দিতে শুরু করেছেন আকালি দলের নেতা সুখবীর সিং বাদল। তার আগে মাস কয়েকের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে চরণজিৎ সিং চান্নিকে এনে বিরোধীদের রণনীতি ভেস্তে দিল কংগ্রেস।
শিখ এবং দলিত সম্প্রদায়ের অন্যতম মুখ চামকোর সাহিবের বিধায়ক চান্নি। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারার কাজ সেরে ফেলেছেন নভজোৎ সিং সিধুরা৷
কয়েকমাস ধরে পাঞ্জাব কংগ্রেসে ক্যাপ্টেন সিং বনাম সিধুর যে ঘরোয়া যুদ্ধ চলছিল। তাতে বেজায় অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন দলের নেতারা। গোটা বিষয়টি সামাল দিতে বারবার বৈঠকে বসতে হয়েছিল হাইকম্যান্ডকে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে সিধুকে আনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল নিয়ে ইঙ্গিত মিলেছিল। সেই ঘটনাপ্রবাহে গা ভাসিয়ে সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। তাই তড়িঘড়ি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন হরিশ রাওয়াত।
নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ অম্বিকা সোনিকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রপ্সতাব নিজেই ফিরিয়ে দেন তিনি। কারণ, তিনি চেয়েছিলেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী শিখ সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তি হোক। সেই ফর্মুলাতে মুখ্যমন্ত্রী পদে বাধ সাধে সুনীল ঝাক্কাড়ের।
মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন সুখঝিন্দর সিং রান্ধা। সিধু ঘনিষ্ঠ চান্নিকেই মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেন হাইকম্যান্ড। মুখ্যমন্ত্রী পদে আসার আগেই কৃষকদের অধিকার নিয়ে ট্যুইট করেন তিনি।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে চান্নি শপথের পর পাঞ্জাবের মন্ত্রীসভাতেও বেশ বদল আসতে চলেছে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের। নতুন মন্ত্রীসভায় কারা জায়গা পান? সেটা এখন দেখার। শুধুমাত্র মন্ত্রীসভা নয়, পাঞ্জাবের রাজনীতিতেও এরপর বড়সড় বদল আসতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই শিবির বদল করতে চলেছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাখা শিখ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি হয়তো অমরিন্দরের দলবদলে পুরণ হতে পারে। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের৷