অসুস্থ মন্ত্রী জাকির হোসেনকে দেখতে SSKM-এ মুখ্যমন্ত্রী, ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শ্রম দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করল সিআইডি। বৃহস্পতিবার সকালেই মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশন চত্বরে বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখলেন সিআইডি অফিসাররা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।  কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দলকেও।

বুধবার রাতেই মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতা স্থানান্তর করা হয় গুরুতর জখম মন্ত্রী জাকির হোসেনকে। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অসুস্থ জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন ত্বহা সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে পৌঁছন অসুস্থ জাকির হোসেনকে দেখতে। এরপর সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বুধবার রাতে বোমার আঘাতে মোট ২৬ জন জখম হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৬ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতেই জাকির হোসেনের সঙ্গে ১০ জনকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ আরও কয়েকজনকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা করে এবং যারা অল্প বিস্তর আহত হয়েছেন তাদের জন্য এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ বোমায় আহত রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন

একইসঙ্গে নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণ ঘটায় রেল কর্তৃপক্ষ কেও তুলোধোনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় কোনভাবেই বিস্ফোরণের দায় এড়াতে পারে না’ রেল কর্তৃপক্ষ। গোটা ঘটনা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। তবে ঠারেঠোরে এই ঘটনার পেছনে তিনি যে বিজেপিকে দায়ী করছেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে অস্ত্রোপচার করা হবে জাকির হোসেনের। বোমার আঘাতে মন্ত্রীর হাতে উপায় গুরুতর ক্ষত তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ভেঙে গিয়েছে গোড়ালির হাড়। উড়ে গিয়েছে একটি আঙ্গুলের প্রায় অর্ধেকটা। পায়ে এখনো বিঁধে রয়েছে বোমার স্প্লিন্টার। অর্থোপেডিক সার্জন, কার্ডিওলজিস্ট এবং প্লাস্টিক সার্জেনদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অস্ত্রপ্রচার।

উল্লেখ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বোমাবাজির ঘটনায় তুমুল শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। মুর্শিদাবাদ জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কারোর অজানা নয়। বুধবার রাতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই ঘটনার জন্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপিও।

তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটলো। নেপথ্যে কারা জড়িত, তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট