রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী বদলাচ্ছে কংগ্রেস? লক্ষ্যপূরণের পথে শচীন পাইলট

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৪ তে কেন্দ্রে ক্ষমতা হারানোর পর ২০১৮ এর বিধানসভা নির্বাচনে বড় সাফল্য পেয়েছিল কংগ্রেস। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। সেই সময় রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে কংগ্রেসে ব্যাপক দড়ি টানাটানি শুরু হয়। তবে মরু রাজ্যে এর রেশ ছিল সবচেয়ে বেশি।

রাজ্য সভাপতি হিসেবে কংগ্রেসের ওই জয়ে শচীন পাইলটের বড় অবদান ছিল। গোটা রাজ্য ঘুড়ে বেড়িয়ে তিনি সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষীর খেয়ে যান বর্ষিয়ান অশোক গেহলট। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় শচীনকে।

তবে হাল ছাড়েননি গুজ্জর সম্প্রদায়ের এই তরুণ নেতা। ২০২০ তে তাঁর বিদ্রোহের জেরে সরকার যায় যায় অবস্থা তৈরি হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত ‘বন্ধু’ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পথে হাঁটেননি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধির দৌত্যে কংগ্রেসেই থেকে যান। সেই সময় কংগ্রেস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ভবিষ্যতে তিনিই মরু রাজ্যের রাজ্যপাট সামলাবেন। অবশেষে বোধহয় তরুণ এই নেতার স্বপ্ন সত্যি হতে যাচ্ছে।

‘মান’ রাখতে পারবেন বিপ্লব? বিধানসভার আগে রাজ্যসভা ভোটে অ্যাসিড টেস্টের মুখে বিজেপি

কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অবশেষে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট রাজি হয়েছেন। বুধবার তিনি বলেন, “দল চাইলে সভাপতি পদে প্রার্থী হব।” তাঁর এই মন্তব্যকে ইতিবাচক ইঙ্গিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

অবশ্য কংগ্রেসের ‘ফার্স্ট পার্সন’ হ‌ওয়ার ক্ষেত্রে গেহলটের পথ নিষ্কন্টক নয়। বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতা শশী থারুর সম্ভবত প্রার্থী হবেন। সেক্ষেত্রে ভোটের লড়াইয়ে জিতে আসতে হবে গেহলটকে। তবে তাঁর মাথায় গান্ধি পরিবারের ‘হাত’ থাকায় গেহলটের জিততে অসুবিধা হ‌ওয়ার কথা নয়।

আগামী ২০ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি ভোটের ফল প্রকাশ হ‌ওয়ার কথা। তাতে যদি গেহলট নির্বাচিত হন তবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে অবধারিতভাবে তিনি ইস্তফা দেবেন। তখন শচীন পাইলট‌ই যে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা একরকম অবধারিত বলা যায়।

যদিও অশোক গেহলট মরু রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পদে শচীনকে ছাড়তে রাজি নয়। তবে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সমর্থন থাকায় এই তরুণ নেতার বিশেষ সমস্যা হ‌ওয়ার কথা নয়। সেক্ষেত্রে আগামী বছর বিধানসভা ভোট গুজ্জর শচীনের নেতৃত্বেই লড়বে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে শচীনের বাবা রাজেশ পাইলটকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো কংগ্রেস সভাপতি হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধি।

সম্পর্কিত পোস্ট