উত্তরাখন্ড বিপর্যয়ে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে তুষারধসের জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নিখোঁজ প্রায় ১৫০ জন। চলছে উদ্ধার কাজ। এরইমধ্যে বিপর্যয়ের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে টুইট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ে প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত ও অত্যন্ত দুঃখিত। পাশাপাশি তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন। বিপর্যয়ে আহতদের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার কামনাও করেন তিনি।
তুষারধসের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের বিষয়ে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় উত্তরাখণ্ড সরকার হেল্পলাইন নম্বর জারি করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়তের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনাটি নজরে রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
বর্তমানে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চলছে কাজ। টুইট করে অমিত শাহ এ কথা জানিয়েছেন। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চলছে উদ্ধারকাজ। শুরু হয়েছে মাইকিং। নদীর পাড়ে যাদের বাড়ি তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আইটিবিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০ জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ২টি টিম কাজ করছে। একটি বাঁধ থেকে স্টাফদের সরানোর কাজ করছে। বাঁধ যেখানে ভেঙেছে, সেখানে কোনও চিহ্নই আর অবশিষ্ট নেই।
রেল বাজেটে কেন্দ্রের অবহেলা নিয়ে সরব তৃণমূল
বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফে আরও টিম রওনা হয়েছে ঘটনাস্থলের দিকে। হরিদ্বার, ঋষিকেশ ও দেরাদুনে জারি হয়েছে সতর্কতা। মনে করা হচ্ছে বিকেলের দিকে হরিদ্বারে বাড়তে পারে জলস্তর। তাই সেখান থেকেও এলাকা খালি করার কাজ চলছে। তুষারধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। পর্যটকদের এয়ারলিফ্ট করার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সহ সমস্ত এজেন্সিকে এখন হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে তুষার ধসের ফলে নদীতে যেভাবে জলস্তর বাড়াতে শুরু করেছে তাতে আগামী ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে জল বের করতে হবে। তা না হলে, ক্রমাগত গঙ্গার জলস্তর বাড়তে থাকলে হরিদ্বার ও ঋষিকেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।