পুলিশি হস্তক্ষেপে বেড়াচাঁপায় নাবালিকার বিয়ে রুখলেন চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিয়ের যাবতীয় আয়োজন সারা। চলে এসেছেন অতিথিরাও। কনের সাজে বিয়ের আসরে বসে পাত্রী। শুধু বর আসার অপেক্ষা।ঠিক তখনই বিয়ে বাড়িতে সটান হাজির পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। শেষে তাঁদের হস্তক্ষেপে নাবালিকার বিয়ে রুখল চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা।

ঘটনাটি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের উত্তর কাউকে পাড়ার।শুধু বিয়ে রোখাই নয়,নাবালিকার পরিবার মুচলেকা দিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের জানালেন ১৮ বছর না হলে ওই নাবালিকার বিয়ে দেবেন না।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,দেগঙ্গার উত্তর কাউকে পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ মন্ডল তাঁর একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলেন। পাত্র শেখ বাকি বিল্লার বাড়ি দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের জোয়ারিয়ায়।

দুই পরিবারের মধ্যস্ততায় সোমবার বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল ।কিন্তু পাত্রী নাবালিকা হলেও সেটা কেউই গ্রাহ্য করেননি ।ফলে বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্যান্ডেল করা হয়েছিল নাবালিকা পাত্রীর বাড়িতে। সকাল সকাল বিয়ে বাড়িতে চলে এসেছিলেন আত্মীয়-স্বজনরাও। রান্নাবান্না থেকে বিয়ের যাবতীয় আয়োজন প্রায় শেষ। সকলেই মশগুল বিয়ের আনন্দে।

নাবালিকা পাত্রী কনের সাজে বসে আছেন ঘরে।অপেক্ষা শুধু বর আসার।এমন সময় এদিন দুপুরে কনের বাড়ির সামনে গাড়ি এসে দাঁড়াল। সকলেই ভেবেছিলেন বরের গাড়ি এসেছে। কিন্তু,গাড়ি থেকে পুলিশ নামতেই ছন্দপতন ঘটল বিয়ে বাড়ির।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/ruling-party-tmc-mla-himself-was-the-victim-of-harassment-when-he-came-to-hospital-in-corona/

পরিবারের কাছ থেকে পাত্রীর জন্মের নথি দেখতে চায় পুলিশ।কিন্তু দেখা যায় তখনও পাত্রীর ১৮ বছর হয়নি। এরপরই কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার কুফল নিয়ে পরিবারের লোকজনদের সচেতন করা হয় পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের তরফে। নাবালিকার বিয়ে সামাজিক অপরাধ। এক্ষেত্রে সাজার বিধান রয়েছে বলেও পাত্রীর বাবা ও মাকে বলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।

এছাড়া,সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধার কথাও তুলে ধরা হয়। শেষে,নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন নাবালিকার পরিবার।দেগঙ্গা থানার পুলিশ,চাইল্ড লাইন ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনেই মুচলেকা দিয়ে কনের বাবা মা জানান এরকম ভুল আর হবেনা  ।১৮ বছর না হলে তারা তাঁদের মেয়ের বিয়ে দেবেন না।পরিবারের আশ্বাস পাওয়ার পরই কনের বাড়ি ছাড়েন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা।

দেগঙ্গা ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিক সিতাংশু মুখার্জি বলেন,”নাবালিকার বিয়ে সামাজিক অপরাধ। চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। এরপরই পুলিশকে সাথে নিয়ে আমরা সেখানে হানা দিই।সঠিক সময়ে যাওয়ার ফলেই নাবালিকার বিয়ে রোখা গিয়েছে। ওর পরিবার মুচলেকা দিয়ে আশ্বাস দিয়েছে ১৮ বছর না হওয়া অবধি নাবালিকার বিয়ে দেবেন না”।

সম্পর্কিত পোস্ট