এবার দোরগোড়ায় যুদ্ধ বাঁধল বলে, ক্ষেপনাস্ত্র বৃষ্টি শুরু চিনের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ইউরোপের পর এবার কী এশিয়াতেও যুদ্ধ বাধতে চলেছে? অন্তত চিনের কার্যকলাপ দেখে তাই মনে হচ্ছে। মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানের মাটি ছাড়তেই অস্ত্রবর্ষন শুরু করেছে বেজিং। তবে এখনও পুরদোস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়নি। যদিও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

চিন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজে ভূখণ্ড বলে দাবি করে। কিন্তু ১৯৪৯ সালে মাও সে তুং এর নেতৃত্বে কমিউনিস্টরা চিনের মূল ভূখণ্ডে ক্ষমতা দখল করলে দক্ষিণপন্থী জাতীয়তাবাদী চিয়াং কাই শেক অনুগামীদের নিয়ে তাইওয়ান দ্বীপে পালিয়ে আসেন। এখানে পৃথক সরকার গড়ে তোলেন।

সেই থেকেই চিন ও তাইওয়ান আলাদাভাবে শাসিত হচ্ছে। বেশিরভাগ দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতিও দিয়েছে। তবু এক দেশ নীতি মেনে চিন তাইওয়ানকে নিয়ে দাবি ছাড়তে রাজি নয়। এদিকে আমেরিকা বরাবর তাইওয়ানকে সমর্থন জানিয়ে আসছে। তারা জানিয়েছে, চিন স্বাধীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে তারা সম্পূর্ণভাবে তাইপেইয়ের পাশে থাকবে।

বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের নতুন স্রোত বইয়ে দিয়েছে মাঙ্কিপক্স

দুদিন আগে আমেরিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক প্রধান ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান আসেন। প্রায় ২৫ বছর পর আমেরিকার এমন ওজনদার কোন‌ও নেতা সে দেশে এলেন। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ চিন সরাসরি তাইওয়ান আক্রমণের হুমকি দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে পেলোসি তাইওয়ান ছাড়তেই ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়তে শুরু করেছে বেজিং। তাদের আপাতত লক্ষ্য তাইওয়ানের সামুদ্রিক সীমানা। চিন আগেই জানিয়েছিল তারা ক্ষমতা বোঝাতে তাইওয়ানকে ঘিরে ক্ষেপনাস্ত্র মহড়া চালাবে। সেটাই শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে।

আপাতত তাইওয়ানের মূল ভূখণ্ডে তিন আক্রমণ না করলেও খুব কাছেই ক্ষেপনাস্ত্র ফেলছে। যাকে প্ররোচনা দেওয়া ছাড়া আর কিছু বলে না। তবে সতর্ক থাকলেও তাইওয়ান এখন‌ই পাল্টা জবাব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটাই যা বাঁচোয়া।

সম্পর্কিত পোস্ট