দেশজুড়ে প্রতিবাদের মাঝেই লাগু হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে তোলপাড় গোটা দেশ। এরই মাঝে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে লাগু হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, পারসী, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন শরনার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অনীল মালিক জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ধারা ১ এবং উপধারা ২ মেনেই ১০ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে লাগু হল নতুন আইন।
গত ১১ ডিসেম্বর সংসদে সর্বাধিক ভোট পেয়ে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যদিও বিল পাশের আগে থেকেই গোটা উত্তর-পুর্ব ভারত জুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ধীরে ধীরে সারা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদের আগুন। ধর্মের নামে দেশ বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি, অভিযোগ তোলে বিরোধী পক্ষ।
সিএএ প্রত্যাহারের দাবীতে পথে নামে পড়ুয়ারা। রাতজেগে সিএএ এর প্রতিবাদে এখনও অবধি আন্দোলন করে চলেছেন দিল্লি এবং কলকাতার মহিলারা। দেশজুড়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। যার মধ্যে ১৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যোগীর রাজ্যে। অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে পড়ে, দেশের একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও।
আরও পড়ুনঃ “দিদিকে বলো” –এর মঞ্চ থেকে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন ইয়াসির হায়দার
সিএএ এর প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলনে সরব হয়েছেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। লাগাতার আন্দোলনে বিজেপির দিকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একযোগে প্রস্তাব পাশ করেছে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষ। পাল্টা এই প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক বলে দাবী করছে বিজেপি।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই আইন মানবতার প্রতিক। এতে দেশে বসবাসকারী মুসলমানদের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষ। ধর্মের ভিত্তিতে নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরে ধর্মের কারণে নির্যাতিত হওয়ার পর যে সমস্ত মানুষ ভারতে এসে বাস করেছে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছে সরকার পক্ষ।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, পারসী, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন শরনার্থীদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তার জন্য কেন তাঁরা ভারতে এসেছেন তা উল্লেখের প্রয়োজন নেই। ধরেই নেওয়া হবে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে এসেছেন তাঁরা।