বিজেপির পুরনো লোকরা ঘরে বসে কাঁদছে, কটাক্ষ মমতার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির পুরনো লোকজন ঘরে বসে কাঁদছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জনসভা থেকে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত বিজেপির পুরনো নেতা- কর্মীদের খোঁচা দিলেন তিনি।

এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে আলোচনা। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে একাধিক নেতা, বিধায়ক মন্ত্রী বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন।

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তারা অনেকেই টিকিট পেয়েছেন। গতকাল বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। দেখা গিয়েছে তৃণমূল থেকে যাওয়া বহু নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপির ভোট লড়ছেন।

প্রার্থী হিসেবে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা অনেকেই মেনে নেননি। সন্ধ্যার পর থেকেই কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত গন্ডগোল হয়েছে। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। পথ অবরোধ হয়েছে।

তৃণমূল থেকে যাওয়া লোকেদের প্রার্থী হিসেবে কিছুতেই মানতে পারছেন না বিজেপির লোকজন। রাজনৈতিক মহল জানাচ্ছে, যারা একসময় বিজেপি করতেন, সে সমস্ত মানুষজন এবার খুব একটা প্রচারের কাজে সামনে থাকছেন না।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনাকেই রাজনৈতিক হাতিয়ার করলেন। তৃণমূল থেকে যাওয়া লোকেদের বিজেপিতে তোষামোদ করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির পুরনো লোকেদের দলের ভেতর এখন আর জায়গা হচ্ছে না।

WB Assembly Election 2021- ৩ জেলার ৪ বিধানসভায় প্রার্থী বদল তৃণমূলের

এই কথা তৃণমূল প্রচার করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও এক কদম এগিয়ে গেলেন। মমতা বলেন, “সিপিএমের হার্মাদ ও তৃণমূলের কিছু লোক গিয়ে এখন বিজেপিতে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। বিজেপিতে যারা পুরনো লোক তারা এখন ঘরে বসে কাঁদছে।” এই কথার যথেষ্ট রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ্য করে তাই প্রত্যেকটি জনসভাতেই আক্রমণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া লোকেদের গদ্দার বলছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “কিছু গদ্দারকে অন্ধের মতো ভালোবেসে বিশ্বাস করেছিলাম। তারপর তারা বেইমানি করল। এই বেইমানি আর হবে না।”

বিজেপিকে একটাও ভোট দিতে বারণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম কংগ্রেসকে ভোট দিলে নষ্ট হবে। তার থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে সব ভোট দিক মানুষ। এই দাবি জানিয়েছেন মমতা।

সম্পর্কিত পোস্ট