করোনার থাবা মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারে, প্রয়াত মেজ ভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার থাবা এবার মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারে। করোনায় নিজের ভাইকে হারালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর মেজ ভাই অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়।

বেশ কিছুদিন ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রায় ১ মাস ধরে ভর্তি ছিলেন মেডিকা হাসপাতালে। সেখানেই আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারে শোকের ছায়া। শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। কালীঘাটে একই বাড়িতে থাকতেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই। কোভিড প্রোটোকল মেনে আজ নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য হবে।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে সংক্রমণের গ্রাফ উর্দ্ধমুখী। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁই ছুঁই।বুধবার পর্যন্ত তিন দিনে ২,৭২৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬জনের।

অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুন। অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে জেলা ও মহকুমা হাসপাতালে গড়ে তোলা হচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অশ্বিনী কুমার মাজি জানিয়েছেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় জেলায় দুটি হাসপাতালে মোট তিনটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হচ্ছে।

আসানসোল জেলা হাসপাতালে দুটি, অন্যটি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে গড়ে তোলা হবে। জেলা হাসপাতালে কোভিড বেড রয়েছে ৯০ টি। দুর্গাপুর হাসপাতালে ২১ টি কোভিড বেড রয়েছে। এখানে কোভিড বেড সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই জায়গা পরিদর্শন করে গেছেন।

আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, হাসপাতালে প্রতিদিন ৬০টি করে জাম্বু অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে।যা মূলত দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হয়। করোনা রোগীদের জন্য চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের শয্যা আরো বাড়ানো হয়েছে। ফলে অক্সিজেন চাহিদা কিছুটা হলেও বেড়েছে।

কিছুটা কমল দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা

হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট গড়ে তোলা হলে বাইরে সংস্থার উপরে নির্ভর করতে হবে না।হাসপাতালে পুরনো এবং নতুন ভবনের জন্য মোট দুটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়ে তোলার ছাড়পত্র মিলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

করোনায় সংক্রমিত হয়ে শুক্রবার রাজ্যে চারজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। মারা গিয়েছেন ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতাল এর প্যাথলজিস্ট সুবীর দত্ত। এপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক উৎপল সেনগুপ্ত, মুর্শিদাবাদের তরুণ চিকিৎসক সন্দীপন মন্ডল এবং এন আর এস এর প্রাক্তন চিকিৎসক সতীশ ঘাটার।

দমদম বিমান বন্দরে আজ সকাল ৮ টা নাগাদ ৭৫ হাজার ডোজ কোভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে। এগুলি বাগবাজার সেন্ট্রাল ষ্টোরে রাখা হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের প্রধান টেড্রোস অ্যাডানম ঘেব্রেয়েসুস বলেছেন যে অপেক্ষাকৃত সম্পন্ন দেশগুলিতে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের কোভিড১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত করে স্বল্প আয়ের দেশগুলিতে সরবরাহ করা উচিত।

করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অতিক্রম করেছে। দেশে মোট টীকাদানের সংখ্যা ১৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত আটটা পর্যন্ত ১৮ কোটি ৪ লক্ষ ২৯ হাজার ২৬১ জন। ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

বুধবার ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৭১ জন টীকার প্রথম ডোজ নেন। ফলে ৩২ টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে তৃতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিন অভিযান শুরু হবার পর এই সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৬২তে।

সম্পর্কিত পোস্ট