চিনা পণ্য বয়কটের ডাক কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চিনা পণ্য সামগ্রী বয়কটের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার হিন্দ ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন কথা বলেছেন তিনি।

চিনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে কার্তিক বলেছেন, “চিন যেভাবে আগ্রাসন চালিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে তা নিন্দনীয়। আমরা চাই ভারত চিনকে এ বিষয়ে যোগ্য জবাব দিক।”

এরপরেই তিনি বলেন, “নিহত বীর সৈনিকদের প্রতি আজ সারা দেশ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। ভারতের ভূখণ্ড দখলের জন্য চিন যে ঘৃন্য পথ নিয়েছে তার প্রতিবাদে আমাদের সব রকম চিনা পণ্য বয়কট করতে হবে।

আগামী দিনে চিনা পণ্য বয়কট প্রসঙ্গে তিনি যে বড়সড় কর্মসুচি নেবেন, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই তৃণমুল নেতা।

ন্যূনতম ভাড়া ৫০ টাকা করার দাবি বিটিএ-র

গত সোমবার সন্ধ্যায় লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের। সেই সংঘর্ষে মারা যান পশ্চিমবঙ্গের দুই বীর জাওয়ান।

বীরভূমের মহম্মদ বাজারের বাসিন্দা রাজেশ ওঁরাও ও আলিপুরদুয়ারের বিপুল রায় পিপলস লিবাক্সেশন আর্মির অতর্কিত হামলায় শহিদ হন।

কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নেতৃত্বাধীন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিবেকের পক্ষে দুই শহিদ পরিবারকে এক লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

এদিন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “আমাদের বীর সন্তানরা প্রাণ হারিয়েছেন। সন্তানহারা পিতা মাতারা চাইছেন চিনা সেনার শাস্তি। ভাদের আত্মবলিদান যেন বৃথা না হয়, সেই কারণে ভারতকে চিনকে জবাব দিতে হবেই। তা সামরিক ক্ষেত্রেই হোক, বাণিজ্যিক ভাবে হোক, কিংবা কুটনৈতিক ভাবে হোক। চিনের বিরুদ্ধে ভারত যে পদক্ষেপ নেবে, তাতে সারা দেশের মানুষের সমর্থন রয়েছে। ”

উল্লেখ্য,১৯৯৯ সালে পথচলা শুরু করে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যাযের নেতৃত্বাধীন সংগঠন বিবেক। আর সেই বছরেই ভারত – পাকিস্তানের কার্গিল যুদ্ধ হয়। তখনও ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য আর্থিক সাহায্য দিযেছিল বিবেক।

সেই সময় শহর কলকাতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনোবল বৃদ্ধির জন্য একটি পদযাত্রাও করেছিল বিবেক। সেই পদযাত্রায় হেঁটেছিলেন তৎকালীন রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট