বাণিজ্য নগরী স্তব্ধ, ২৫০ বছরের রামজান মেলায় ” লকডাউন ” এফেক্ট, বাণিজ্য নগরীর কথা-পর্ব ৩
রাহুল গুপ্ত
রামজান মাস শুরু হতে চলেছে। এক মাসের রামজানের শেষে আসে খুশির ঈদ। কিন্তু করোনা গ্রাসে এই রামজান মাসের সমস্ত রকমের নিয়মনীতি নিয়ে চিন্তিত সব মুসলিম ভাইবোনেরা। ” লক ডাউন ” এফেক্ট আজকের রামজানের মার্কেটেও।
বাণিজ্য নগরী মুম্বাই করোনা আবহে মৃত্যু পুরীতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ ২৫০ বছর ধরে চলে আসা রামজান মেলা যা হয়ে আসছে মুম্বাইয়ের মহম্মদ আলী রোড ফুড স্ট্রিট এ তা আজ পুরোপুরি শান্ত।
আনন্দের উৎসব করোনা আবহে কার্যত দূরে করে দিচ্ছে সবাইকে। রামজান মাসে সেজে ওঠে ওই অঞ্চল, আজ রংহীন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এই এক মাস ধরে থাকে মানুষের ভিড়, জমজমাট পরিবেশ। কিন্তু টোটাল লক ডাউনে আজ এই পরিচিত জায়গাটা বড্ডো অপরিচিত সবার কাছে। শুনশান , ফাঁকা।
মনের ক্যামেরায় ফ্ল্যাশব্যাক এ গেলে আপনি দেখতে পাবেন এই মেলায় কত রকমের রকমের জিভে জল এনে দেওয়া খাবার। বিভিন্ন রকমের কাবাব থেকে , শিমুই , মালপোয়া , জিলাপি কতকিছু।
শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষই নন , বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় জমান এই রামজান মেলায়। কিন্তু বর্তমানের ছবিটা শুধুই যেন অতীতের গল্পকথার মতো শোনাচ্ছে।
বর্তমানের ছবি :: করোনা গ্রাসে বসলো না সেই ২৫০ বছরের পুরোনো রামজান মেলা। যারা এই সময় রাস্তার ধরে ফুড কর্নারে রকমারি খাবার সাজিয়ে বসেন তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ।
আবার ছন্দে ফিরবে আমাদের মুম্বাই …. অপেক্ষা সময়ের , বাণিজ্য নগরীর কথা, পর্ব ২
এক মাস ধরে চলা এই মেলায় যে আয় হয় তা চলে বছরের বাকি সময়টা অনেকটাই , কিন্তু এইবার সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে করোনা গ্রাসে।
আব্দুল রহমান খান পেশায় এক রেস্তোরাঁর মালিক। তাঁর কথায় জানলাম এই অঞ্চলে প্রায় ৪০০ টি ষ্টল বসে এই রামজান মাসে ।
প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৪০ হাজার মানুষের ভিড় জমতো বিগত বছরগুলোতে। ছুটির দিনে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াতো প্রায় ১ লাখের কাছে। কিন্তু এই বছর সব ফাঁকা , শান্ত , স্তব্ধ।
উল্লেখ্য এক মাস ধরে চলা এই রামজান মেলা থেকে উপকৃত হন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ স্টলের মালিকেরা। প্রায় ১ হাজার পরিবার সম্পূর্ণ ভাবে বেঁচে থাকে দীর্ঘ ২৫০ বছর ধরে চলে আসা রামজান মেলায়। বর্তমানে সব ফিকে হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজকের বাণিজ্য নগরীর সময় যেন থমকে গেছে পরিস্থিতির কাছে। আবার আসবে সেই ব্যস্ততার সময় , দিন ধরে শুধুই অপেক্ষা আর অপেক্ষা।