নদীর ওপর আস্ত কংক্রিটের পিলার, ব্য়হত সেচের কাজ ; ধুঁকছে বুড়িবালাসন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অস্তিত্ব সংকটে উত্তরবঙ্গের আরো এক নদী বুড়ি বালাসন। দূষণের মাত্রা এতোটাই যে শিলিগুড়ি মহকুমার বাগডোগরার বুড়িবালাসন নদী আজ ড্রেনের আকারে পরিনত হয়েছে। শুধু কি দূষণ! নদীর ওপর আস্ত কংক্রিটের পিলার করে একতলা থেকে বহুতল নির্মাণ। নদীর ওপর কংক্রিটের নির্মাণ এতটাই যে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ও নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে, এতে বিপাকে পড়েছে হাজারো কৃষক ও কৃষিকাজ।

কংক্রিটের নির্মাণ করে দোকান, অবৈধ পাকা ও লোহার ব্রিজ করেছে অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্র বর্মন জানান, বুড়িবালাসন নদী এখন নালায় পরিনত হয়েছে। এই নদীর জন্য মুলাই জোত, ধনসরা, নেমারু জোত সহ বিভিন্ন এলাকায় সেচের কাজ হত। নদীর ওপর অবৈধ নির্মাণ হওয়ায় এখন কৃষিকাজে অসুবিধা হচ্ছে।

এবিষয়ে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি বিধানসভার বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ জানান বুড়িবালাসনের এই নদীতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দখল করে বিশাল বহুতল নির্মাণ করেছেন। পুলিশ ও প্রশাসন জেনে বুঝেও চুপচাপ রয়েছে। তৃণমূল করে বলেই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সাহস পায়না। বিগত কয়েক দিনে জমি মাফিয়াদের গ্রেফতার করা হয়েছে কিন্তু আসল জমি মাফিয়াদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। সাধারণ মানুষদের জমি মাফিয়া বানানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের এই জমির টাকা কালিঘাটে পৌঁছে যাচ্ছে। তবে প্রশাসন উপযুক্ত তদন্ত করে এই জমি মাফিয়াদের গ্রেফতার করুক।

একই কথা বাগডোগরা এরিয়া কমিটির সম্পাদক শীতল দত্ত ও কংগ্রেস নেতা অমিতাভ সরকারের মুখে। অমিতাভ সরকার জানান, বুড়িবালাসন এখন নদীর রুপ নেই। এখানে কৃষকদের সেচের জন্য লকগেট করা হলেও ২০১১ সালের পর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বুড়িবালাসন নদীর ওপর অবৈধ ব্রিজ নির্মাণ করেছে, নদী বন্ধ করে দোকান ও বাড়ি নির্মাণ করেছে। ২০১৫ সালে এ বিষয়ে বিডিও ও বিএলআরওকে অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বুড়িবালাসন আগের অবস্থায় ফিরে আসুক এবং এই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হোক।

স্বাস্থ্যসাথী না নিলে কড়া ব্যবস্থা হাসাপাতালের বিরুদ্ধে, ফের কড়া হুঁশিয়ারী মুখ্যমন্ত্রীর

সিপিএম নেতা শীতল দত্ত জানান, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বুড়িবালাসন নদীকে নালায় পরিনত করা হয়েছে। নদীর ওপর দুটি বেসরকারি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা নদী দখল করে তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করে দোকান ভাড়া দিয়েছেন। আমরা বাধা দিলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। তবে দ্রুত নদীকে দখলমুক্ত করা হোক।

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলার বলেছেন। রাজ্য পুলিশ কাজ করছে। তবে আইন আইনের পথে চলবে। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন রং না দেখে কাজ করার কথা বলেছেন, প্রশাসন তা করছে মত তৃণমূল জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষের। পাহাড়ী ঝোড়া থেকে উৎপন্ন এই নদী হুলিয়া নদীতে মিশেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে নদীর জল না আসায় কৃষিকাজে ব্যঘাত ঘটেছে কৃষকদের।

সম্পর্কিত পোস্ট