অসমে আতর সম্রাটের হাত ছাড়ছে কংগ্রেস
দ্য কোয়ারি ওয়েবেডেস্কঃ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবিজেপি দলগুলিকে নিয়ে মহাজোটের ডাক দিয়েছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। সেই জোটের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গঠনের পর।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, অসম, ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই অসমের ভূমিকন্যা ও কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আগামীদিনে সুস্মিতার হাত ধরেই সেরাজ্যে সংগঠন বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
এসবের মাঝেই অসমে ভাঙতে চলেছে মহাজোট। অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের সঙ্গ ত্যাগ করতে চলেছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিষয়টি চলতি মাসেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে অসমে বিজেপিকে রুখতে অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট(AIUDF)-এর সঙ্গে জোট করে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস(INC)। পরবর্তীতে দেখা যায় কোনও লাভ হয়নি মহাজোট করে। ফের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। উলটে মহাজোটের নেতাদের মুখে বিজেপির প্রশংসা।
ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়করা ‘ঝুঁকছেন’ তৃণমূলে, কলকাতায় ফের সুদীপ ‘ছক’
অসমের দক্ষিণে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় মজবুত সংগঠন রয়েছে অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের।বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বে সেখানের সংখ্যালঘু মুসলিমদের বড় অংশের সমর্থন রয়েছে ওই রাজনৈতিক দলে।
বিজেপিকে রুখতে তাদের সঙ্গে জোট গঠন করে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে অসমের আরও তিন বাম দলের সঙ্গে জোট করে হাত শিবির। সেই অনুযায়ী চূড়ান্ত হয় প্রার্থী তালিকা। কংগ্রেসের অন্দরমহলের তরফে জানা গেছে, এই জোট নিয়ে দলের একাংশের আপত্তি ছিল। অনেকে প্রবীণ নেতাই ওই জোট মেনে নিতে পারেনি।
১২৬ আসনের অসম বিধানসভা নির্বাচনে ৬০টি আসন দখল বিজেপি। গেরুয়া জোটের বাকি দলগুলি মিলিয়ে আরও ১৫ আসন গেরুয়া শিবিরের পক্ষে যায়। ফের অসমে সরকার গঠন করে বিজেপি।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের ঝুলিতে যায় ২৯ আসন। এআইইউডিএফ-কে থামতে হয় ১৬ আসন নিয়ে। বিরোধী মহাজোট সর্বসাকুল্যে ৫০টি আসন পায়। ভরাডুবির কারণে অনেকেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে জোটকে কাঠগড়ায় তোলা হয়।
অসমের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জলঘোলার আগেই এআইইউডিএফ বিধায়কের মুখে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রশংসা শোনা যায়। যা নিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।
পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। আগামী ৩০ অগস্ট দিল্লিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকেই জোট ভাঙার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে।
সূত্রের খবর, ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে অসমে এআইইউডিএফ-কে ছাড়াই লড়াইয়ের পরিকল্পনা করে ফেলেছে কংগ্রেস। ততদিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেবের সহযোগীতায় ঘাফসুলের জমি কতটা শক্ত হতে পারবে তা নিয়েই চলছে বিস্তর জল্পনা।