একের পর এক বিপর্যয় থেকেও শিক্ষা নেয়নি কংগ্রেস, ভাবের ঘরে চুরি চলছেই
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ স্বাধীন ভারতের সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার রচনার ক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। প্রতিবেশী দেশগুলো যখন বারবার সামরিক শাসনের যাঁতাকলে পড়ে ধ্বস্ত হয়েছে, তখনও এই সুবিশাল দেশ গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর ভর করে হাঁটি হাঁটি পায়ে সামনের দিকে এগিয়েছে তার পিছনে জাতীয় কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ এই দল নাকি এখন নিজের সংগঠনিক কাঠামোই ঠিক করে তুলে ধরতে পারছে না! বরং বারবার নিজের ঘোষিত লক্ষ্য নিজেই লংঘন করে কার্যত ‘ভাবের ঘরে চুরি’ করাকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে জাতীয় কংগ্রেস।
এআইসিসির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তারা ব্লক থেকে শুরু করে জেলা স্তর পেরিয়ে রাজ্যস্তরের কমিটি গঠন সংক্রান্ত নির্বাচন সেরে ফেলবে। আর ২১ আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে সর্বভারতীয় সভাপতি ও ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
সরাসরি কোনও প্রেস বিজ্ঞপ্তি না দিলেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের ব্লক-জেলা স্তরের নির্বাচন ভালোভাবে শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সাধারণ কংগ্রেস কর্মী থেকে শুরু করে আমজনতার কাছে আসল সত্যিটা অন্যরকম।
কবে কোথায় কোন ব্লকে নির্বাচন হল তা কেউ জানে না। অথচ কংগ্রেসের যা বেহাল দশা তাতে সাধারণ দলীয় কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই বিভিন্ন স্তরের পদাধিকারীদের নির্বাচিত করলে তবে হয়তো দলের প্রতি আস্থা ফিরতো আমজনতার।
ইবোলায় আবার মৃত্যু! বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের ছায়া
জাতীয় কংগ্রেসের এখন মূল সমস্যা হল নিচু তলার কর্মীরাই দলীয় নেতৃত্বের উপর ভরসা রাখতে পারছে না। এই অবস্থায় নামকে ওয়াস্তে নির্বাচনের কথা বলে নেতারা সেই নিজেদের পছন্দের লোককে ব্লক থেকে শুরু করে জেলা স্তর পেরিয়ে রাজ্যের মাথায় বসিয়ে দেওয়ার অর্থই হল, চিরাচরিত মোসাহেবিকে প্রশ্রয় দেওয়া। ফলে নির্বাচনের নাম করে এমন কাণ্ডকারখানা ভাবের ঘরে চুরি ছাড়া আর কিছু নয়।
অবশ্য শুধু নিচু তলা নয়, শোনা যাচ্ছে নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও মুখে নির্বাচনের কথা বলা হলেও আদপে নাকি কিছুই হবে না। রাহুল গান্ধি দ্বিতীয়বার সভাপতির দায়িত্ব নিতে রাজি না হওয়ায় সেই নাকি সোনিয়া গান্ধিকেই সভাপতি পদে রেখে গান্ধি পরিবারের বাইরে থেকে দুজনকে কার্যকরী সভাপতি হিসেবে তাঁর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে!
এই সমস্ত ঘটনা থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেস তথা গান্ধি পরিবারের আদৌ কি ঘুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে আছে? নাকি যেমন ভাবে চলছে চলুক, এটাই তাদের মনোভাব!