ঘুমের ঘোর না কাটলে শরিকদের জন্য বিপদ ঘনিয়ে আসবে
কিন্তু দিল্লিতে এসে একেবারে অতলে তলিয়ে গেল। একসময়ের ক্ষমতাশালী দল এখন সারা দেশ থেকে মুছে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের পর থেকেই কংগ্রেসের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে ডুবো ডুবো অবস্থায় ছিল কংগ্রেসের নৌকা। কিন্তু দিল্লিতে এসে একেবারে অতলে তলিয়ে গেল। একসময়ের ক্ষমতাশালী দল এখন সারা দেশ থেকে মুছে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের পর থেকেই কংগ্রেসের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এমনকি ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনেও শরিক দল জেএমএম এর প্রাধান্য বেড়ে গিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোটাতে হাত মেলাতে বাধ্য হয়েছেন শরিকরা।
অস্তিত্ব না থাকা সত্বেও ক্ষমতায় আসার ফায়দা তুলেছে কংগ্রেস । কিন্তু দিল্লির নির্বাচনেও ঘুম ভাঙল না ২৪ আকবর রোডের । খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বর্ষীয়ান ক্ষমতাশালী দলকে। বরং ঘুমের ঘোরেই তাঁদের বলতে শোনা যাচ্ছে বিজেপি যে জিতছে না তাতেই আমরা খুশি।
আরও পড়ুনঃ ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর অস্তিত্ব নেই, সংসদে জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
৫২ টি আসন নিয়েও সংসদে সেরকম জোরালোভাবে আক্রমণ করতে দেখা যায়নি রাহুল গান্ধীকে। কংগ্রেসের সেই সুবিধার ফায়দা তুলে একের পর এক বিল পাশ করিয়ে চলেছে মোদি-শাহ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা দেশ থেকে বিজেপির ছবি মুছে গেলেও বিরোধী পক্ষ হিসাবে কংগ্রেসের স্ট্র্যাটেজি আরও ফ্লপ, তা প্রমান হয়ে গেল দিল্লির নির্বাচনেও।
এদিন শুরু থেকেই নির্বাচনের ট্রেন্ড দেখে অনেকে বলেছিলেন কংগ্রেসের ভোট কেটে যাওয়াতে অনেকটা সুবিধা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। যেকারণেই ৩ টি থেকে ৭ টি আসন পেয়েছে তাঁরা। যদিও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, শীলা দীক্ষিতের মৃত্যুর পর দিল্লির নির্বাচনে নতুন করে কোনও কংগ্রেসের মুখ দেখা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান দিল্লি্র, হ্যাটট্রিক কেজরির
কিছুদিন আগেই ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে বলতে শোনা যায়, সংসদে রাহুল গান্ধী না থাকলে বিজেপির কাছে কোনও ইস্যু থাকবে না। রাহুলকে নির্বাচিত করে সবচেয়ে বড় ভুল করেছে ওয়ানাডের মানুষ। যদিও নির্বাচনী লড়াইয়ে রাহুলের থেকে মোদিকেই এগিয়ে রেখেছেন ইতহাসবিদ।
দিল্লির নির্বাচনের পর বাংলা, বিহার সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ণ রাজ্যের নির্বাচন রয়েছে। সেখানেও কংগ্রেসের ঘুম যদি না কাটে তাহলে আগামী দিনে ঘোর বিপদ অপেক্ষা করছে জোটশরিক দলগুলির জন্য।