প্রকাশ্যে কংগ্রেসের ঘরোয়া যুদ্ধ, বিস্ফোরক চিদম্বরম
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের অন্তঃদ্বন্দ্ব। না পোশালে অন্যদলে যান অথবা নিজের দল তৈরি করুন। কংগ্রেস রাজ্যসভার সাংসদকে সরাসরি আক্রমণ করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এরই মাঝে বুধবার সন্ধ্যায় দলের বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া গান্ধী। তার আগে দলের অবস্থান নিয়ে কার্যত তোপ দাগলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম।
তিনি বলেন, বিহার সহ একাধিক একাধিক রাজ্যের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করে দিচ্ছে ওই সমস্ত রাজ্যের কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই। তিনি বলেন, ক্ষমতার তুলনায় বেশী আসনে লড়েছে কংগ্রেস। তাই জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও সরকার গঠনে ব্যর্থ হতে হয়েছে মহাজোটকে। কেন এই হার তা খতিয়ে দেখার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
১০ নভেম্বর বিহারের পাশাপাশি গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকের নির্বাচন ছিল। সেখানেও গেরুয়া শিবিরের কাছে ধোপে টিকতে পারেনি দেশের সবচেয়ে প্রবীন দলটি। যা নিয়ে কপিল সিব্বাল বলেছিলেন, বিজেপির বিকল্প হিসাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে দল। একই সুর মেলালেন চিদম্বরমও। তিনি বলেন, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের ফলাফল বলে দিচ্ছে কংগ্রেসের সংগঠনের কোনও অস্তিত্ব নেই অথবা থাকলেও তা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগেই রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খন্ডের নির্বাচনে জপলাভ করে সরকার গঠন করেছে কংগ্রেস। অথচ সদ্য সমাপ্ত বিহার নির্বাচনে সরকার গঠন থেকে কিছু দুরেই শেষ করতে হল মহাজোটের যাত্রা। এর পিছনে কি কারণ রয়েছে খতিয়ে দেখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পাশাপাশি বিহারের সাংগঠনিক ক্ষমতার তুলনায় বেশী আসনে লড়াই করেই কংগ্রেসের এই ফলাফল বলে দাবী চিদম্বরমের।
উল্লেখ্য, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ টি আসনে লড়াই করে মাত্র ১৯ টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে ৭৫ টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসাবে নিজেদের প্রমাণিত করেছে আরজেডি। সরকার গঠন থেকে কিছুদুরে থাকার জন্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে মহাজোটের সদস্যরা।
আগামী বছরেই পশ্চিমবঙ্গ সহ কেরল, তামিলনাড়ু এবং পদুচেরিতে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। দ্রুত দলের ক্ষত সারিয়ে উঠতে না পারলে বিপদ রয়েছে কংগ্রেসের জন্য।