“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দিলে ভেবে দেখব,” তৃণমূলে ফেরার জল্পনা বাড়িয়ে মন্তব্য শিখা মিত্রের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার ছিল প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের বাৎসরিক। সেই উপলক্ষে তাঁর বাসভবনে আয়োজন হয়েছিল অনুষ্ঠানের। এদিন সন্ধ্যেবেলায় সোমেন জায়া শিখা মিত্রকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাৎসরিক অনুষ্ঠানের কাজ ঠিকভাবে হয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিনিধি হিসেবে এদিন সোমেন মিত্রের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।সূত্র মারফত জানা গিয়েছে দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে রাজনীতির আলাপচারিতা।
শিখা মিত্র জানান, গত জুন মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন করেছিলেন তখনই সোমেন মিত্রের বাৎসরিক অনুষ্ঠানের কথা তাকে জানিয়েছিলাম। তাই তিনি ফোন করে খোঁজ নিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যতায় খুশি মিত্র পরিবার। বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির উর্ধ্বে সৌজন্যতা বজায় রেখেছেন। ব্যতিক্রম হল না এবারও।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন শিখা মিত্র জানান, তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক আমি কোনদিনই ত্যাগ করিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দিলে অবশ্যই ভেবে দেখব। তার এই মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
তালিবান সরকারের শরিক হাক্কানি নেটওয়ার্ক সক্রিয় নেপাল ও উত্তরবঙ্গে
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হয়তো সরকারি কোন পদে বসানো হতে পারে শিখা মিত্রকে। তবে কোনটাই চূড়ান্ত নয়। একইসঙ্গে বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে সৌমিত্রর পরিবারের যথেষ্ট দূরত্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রোহন মিত্র। ফলে এই পরিস্থিতিতে তারা যদি পুনরায় তৃণমূলে ফিরে আসেন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
পাশাপাশি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চৌরঙ্গী কেন্দ্র থেকে শিখা মিত্রের নাম ঘোষণা করে বিজেপি। না জানিয়ে এভাবে প্রার্থী করায় বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তারা। ভারতীয় জনতা পার্টির এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেন শিখা মিত্র। তাতে যথেষ্ট খুশি হয়েছিল ঘাসফুল শিবির।
২০১৩ সালের ১ জুলাই বিধান ভবনে ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম দিনের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিধায়ক শিখা মিত্র। ২০১৪ সালে সস্ত্রীক তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ফের কংগ্রেসের ফিরে আসেন সোমেন মিত্র।
তারপর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতার পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ২০২০ সালে সৌমেন মিত্র অসুস্থ হওয়ার পর শিখা মিত্রকে ফোন করে খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেন সব রকম ভাবে সহযোগিতা এবং পাশে থাকার আশ্বাস। এরপরেই গলতে শুরু করে সম্পর্কের বরফ।