নীরব দর্শকের ভূমিকায় কেন্দ্র সরকার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪, তোপ কংগ্রেসের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজধানীর বুকে মৃত্যু মিছিল কিছুতেই যেন আটকানো যাচ্ছে না। বুধবার রাত পর্যন্ত দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ২৭। বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪।
Death toll rises to 34 after one person passed away at Jag Parvesh Chander Hospital in Shahdara. #DelhiViolence pic.twitter.com/IPXq1E9prg
— ANI (@ANI) February 27, 2020
ক্রমাগত বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ ১৮টি এফআইআর করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩০ জনকে।বুধবার শহরের বিভিন্ন আক্রান্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।
আরও পড়ুনঃ দিল্লি দাঙ্গা : বিজেপির তিন নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর-এর সিদ্ধান্ত কালই নিতে হবে পুলিশকে, নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের
দিল্লির হিংসার ঘটনায় নীরব দর্শক কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার। এই ভাষাতেই নরেন্দ্র মোদি সরকার ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। বৃহস্পতিবার দিল্লির ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় কংগ্রেস।
Sonia Gandhi after submitting a memorandum to President: We call upon you (President) to ensure that life, liberty, & property of citizens are preserved. We also reiterate that you should immediately call for the removal of the Home Minister for his inability to contain violence. https://t.co/fAZURsLu4T pic.twitter.com/3mlAbzePmz
— ANI (@ANI) February 27, 2020
এদিন সনিয়া গান্ধী ছাড়াও কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী প্রমুখ।
Delhi: A delegation from the Indian National Congress led by Congress interim president Sonia Gandhi and former Prime Minister Dr. Manmohan Singh called on President Ram Nath Kovind at Rashtrapati Bhavan today. pic.twitter.com/BdiNPVU5pW
— ANI (@ANI) February 27, 2020
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ‘দিল্লিতে গত চারদিন ধরে যা চলছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গোটা দেশের জন্য লজ্জা। ৩৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, দু’শ জনেরও বেশি মানুষ আহত। কেন্দ্রীয় সরকার যে পুরোপুরি ব্যর্থ, এই ঘটনাতেই তা স্পষ্ট।’
অন্যদিকে দিল্লির ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব।
চাঁদবাগ, মৌজপুর-সহ উত্তেজনা প্রবণ এলাকাগুলিতে চলছে রুট মার্চ। করা হচ্ছে মাইকিং।
উত্তর পূর্ব দিল্লি থমথমে মৃত্যুপুরী হয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে শান্তির আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী-সহ অনেকেই।
দিল্লির মৌজপুর, জাফরাবাদ, কারওয়ালনগরে, চাঁদবাগে জারি কারফিউ। জারি করা হয়েছে ‘শ্যুট অ্যাট সাইট’ অর্ডার। এরই মধ্যে এসএন শ্রীবাস্তবকে স্পেশাল কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
জাফরাবাদ-মৌজপুরে এখন শ্মশানের শান্তি। ফাঁকা রাস্তা জুড়ে পাথর, ইট, ভাঙা কাচ, ভাঙা লোহার রড। ভিতরের গলি থেকে পাকিয়ে পাকিয়ে উঠছে কালো ধোঁয়া। মৌজপুরের গলির একটি দোকানে আগুন নেভেনি। দোকানের মালিক কোন ধর্মের, তা দেখেই আগুন লাগানো হয়েছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।