কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন হবে? দলে চ্যালেঞ্জের মুখে গান্ধি পরিবারের কর্তৃত্ব

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কংগ্রেসের সভাপতি পদে হঠাৎই নাটকীয় বাঁক। নিশ্চিত কিছু জানা না গেলেও দিল্লির অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, এবার সর্বসম্মতিক্রমে নয়, বরং নির্বাচন হতে চলেছে সভাপতি পদে। ফলে গান্ধি পরিবারের কর্তৃত্ব যে এবার পাকাপাকিভাবেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে তা একরকম নিশ্চিত।

আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কংগ্রেসের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের পালা সেরে ফেলার কথা। এই নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা মধুসূদন মিস্ত্রি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ভোট করার জন্য প্রস্তুত। তবে ওয়ার্কিং কমিটি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করলে তবেই নির্বাচন হবে। কে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি হবেন তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানান জল্পনা চলছে।

এই পর্বেই পরিষ্কার হয়ে যায় অনুরাগীদের দাবি থাকলেও রাহুল গান্ধি সভাপতি পদে ফিরছেন না। এদিকে দীর্ঘ শারীরিক অসুস্থতার কারণে সোনিয়া গান্ধিও আর সভাপতি থাকতে চান না। তবে কংগ্রেসের সব শিবিরের নেতারাই সোনিয়াকে সভাপতি থেকে যাওয়ার বিষয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিজেপির ‘কংগ্রেস মানেই গান্ধি পরিবার’ এই প্রচার ভোঁতা করতে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ‘আর নয়’।

এ পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে হতে পারেন তা নিয়ে বেশ কয়েকটি নাম আলোচনায় উঠে আসে। সেই নামগুলি দেখে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়, সভাপতি পদে না থাকলেও গান্ধিরা তাদের ঘনিষ্ঠ কাউকেই সভাপতির পদে বসাতে চান।

বিধানসভার সমস্ত স্থায়ী কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

যাতে কংগ্রেসের তাঁদের অবস্থান কখনোই চ্যালেঞ্জের মুখে না পড়ে। তবে মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই কংগ্রেস শিবিরের জল্পনা শুরু হয়, সবদিক ভেবেচিন্তে সোনিয়া-রাহুল ঠিক করেছেন তাঁদের একান্ত আস্থাভাজন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে দলের সভাপতি পদে বসাবেন।

আগামী রবিবার অর্থাৎ ২৮ আগস্ট দলের ওয়ার্কিং কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া। সেখানেই তিনি দলের পরবর্তী সভাপতি হিসেবে অশোক গেহল্টের নাম সকলের সামনে তুলে ধরবেন। তবে সোনিয়া বা রাহুল সভাপতি হলে যে ঐক্যমতের সম্ভাবনা ছিল তা রাজস্থানের ওবিসি নেতা অশোক গেহলটের বেলায় হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।

সূত্রের খবর সোনিয়া গান্ধি পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে ওয়ার্কিং কমিটির সামনে অশোক গেহলটের নাম পেশ করলে পাল্টা প্রার্থী দিতে পারে জি-২৩ নামে পরিচিত কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবির। কারণ ঘনিষ্ঠ কাউকে সভাপতি করে পিছন থেকে গান্ধিদের দলকে নিয়ন্ত্রণ করার এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধী তারা।

সূত্রের খবর, প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী তথা কেরলের তীরবন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরকে পাল্টা প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরতে পারে বিক্ষুব্ধরা। তবে গান্ধিদের সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ শিবিরের প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা অনেকটাই কম বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেইসঙ্গে কংগ্রেসের সভাপতি পদে ভোটাভুটি হলে তা দলের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই ধারণা সকলের।

সম্পর্কিত পোস্ট