ভেঙে ফেলা হবে পোস্তা উড়ালপুলের নির্মীয়মান অংশ, শুরু হবে কাজ বিবেকানন্দ উড়ালপুলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভাঙা পড়তে চলেছে পোস্তার নির্মীয়মান বিতর্কিত উড়ালপুল। সূত্রের খবর সবদিক ঠিক থাকলে জুন মাসের ১৫ তারিখ থেকেই শুরু হবে উড়ালপুল ভাঙার কাজ। ভাঙার কাজ শেষ হলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোস্তা থেকে উল্টোডাঙ্গা পর্যন্ত বিবেকানন্দ উড়ালপুলের যে প্রস্তাব রেখেছিলেন তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে পরিবর্তিত হতে পারে পোস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের রুটও।
প্রায় আড়াই কিলোমিটার লম্বা এই উড়ালপুল নির্মাণে ১৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে তৎকালীন বাম সরকার। যদিও সেই উড়ালপুলের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তার আগেই ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ভেঙে পড়ে নির্মিয়মান উড়ালপুলের একাংশ। এই ঘটনায় ২৭ জনের মৃত্যু হয় ও ৮০ জনেরও বেশি জখম হয়েছিলেন।
মর্মান্তিক এই দূর্ঘটনার পর পোস্তা এলাকার বাসিন্দারা সরব হন উড়ালপুলটি ভেঙে ফেলার দাবিতে। এই মর্মে সায় দিয়ে আবেদন জানান ব্যবসায়ী মহলের একাংশও। বিশেষজ্ঞ সংস্থা ও ইঞ্জিনিয়ারদের মতামত নিয়ে উড়ালপুল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী পোস্তা বাজার থেকে মানিকতলা, কাঁকুড়গাছি হয়ে উল্টোডাঙা পর্যন্ত একটি উড়ালপুল নির্মাণের প্রস্তাব রাখেন। চলতি বছরে বিধানসভায় সেটি পেশ করা হয় অন্তর্বর্তী রাজ্য বাজেটে। রুবি থেকে কালিকাপুর, চিংড়িঘাটা থেকে নিউটাউন এবং পাইকপাড়া থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত উড়ালপথ নির্মাণের জন্য মোট ২,৫৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দও করেন তিনি।
বুধবার পোস্তা উড়ালপুল নিয়ে কেএমডিএ, পোস্তার ব্যবসায়ী, পুলিশ ও কলকাতা পুরনিগমের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী ও কলকাতা পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
সেই বৈঠক শেষে তিনি জানান, পোস্তা উড়ালপুলের নির্মাণ হওয়া ঝুলন্ত অংশ সরিয়ে ফেলতে প্রথম পর্যায়ে ৪৫ দিন লাগবে। রাইটস পুরো প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত সাহায্য দিয়ে দেখভাল করবে। ভাঙার কাজ চলার সময় ব্রিজের নিচে ট্রাফিক রুটের কিছু পরিবর্তন হবে।
আচমকা তৎপরতা ! স্ত্রী’র খোঁজ নিতে সরাসরি মুকুল রায়কে ফোন প্রধানমন্ত্রীর,
সূত্রের খবর, আগেই নির্মাণ হওয়া ও ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা অংশটি সরিয়ে ফেলতে টেন্ডারের মাধ্যমে চারটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। ভাঙার সময়ে যাতে পোস্তার একটিও বাড়ি বা দোকান ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখার কথা জানান তিনি।