Omicron: ত্রস্ত কলকাতা, চালু মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন থেকে সেফহোম; আক্রান্ত বহু

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ওমিক্রনের চোখ রাঙানির মাঝেই বিশ্বজুড়ে করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রের তরফে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন চালু করার নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, যদি কোনও এলাকায় পাঁচ জন করোনা পজিটিভ রোগী থাকেন, তবে সেই এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হবে।

একইসঙ্গে বলেন, কলকাতার কোনও আবাসনের কোনও ফ্ল্যাটে যদি করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে, তবে পুরনিগমের পক্ষ থেকে গোটা আবাসন জীবাণুমুক্ত করা হবে। ইতিমধ্যে শহরের ১১টি এলাকা মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সূত্রে খবর, প্রথমে মাইক্রো কনটেইনমেন্টের জন্য ২৪টি রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ঠিক হয়, ৫টি বা তার বেশি আক্রান্ত যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই শুধুমাত্র মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট করা হবে। যার ভিত্তিতে আপাতত ১১টি রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে। ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি, ১৬, ৫৯, ৬৫, ৭৮, ৮০, ৮৫ ও ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি করে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট হচ্ছে। ওয়ার্ডের নিরিখে ৭৪, ৬৯, ৬৩, ২৬, ৬৫, ৩১, ১০৯, ৭১, ৮১ এবং ৯৪ নম্বরে গত দু’সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী।

বিধানসভা ভোটের অভিজ্ঞতা কিছুই শেখায়নি, তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে আরেক নির্বাচনের পথে বাংলা

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক রায় রোড, বেলভেডিয়ার রোড, ময়ূরভঞ্জ রোড, এন এস সি বোস রোড, ক্যানেল রোড, পণ্ডিতিয়া রোড, বালিগঞ্জ পার্ক, তিলজলা রোড, জাজেস কোর্ট, ভূতঘাট এলাকার সিআইএসএফ ইউনিট মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

পুরসভা বলছে, স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে শহরের নটি বরো এলাকা। সেগুলি হল ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০ ও ১২ নম্বর বরো। অর্থাৎ উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙা, হাতিবাগান সহ সংলগ্ন এলাকা, মধ্য কলকাতার শিয়ালদহ থেকে কলেজ স্ট্রিট আবার দক্ষিণে পার্ক সার্কাস থেকে বাইপাস লাগোয়া কসবা, কালিকাপুর, মুকুন্দপুর সর্বত্রই স্পর্শকাতর এলাকা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যাদবপুর, বালিগঞ্জ, ভবানীপুর থেকে চেতলা, টালিগঞ্জ, বেহালা, জোকার মতো শহরের একেবারে দক্ষিণেও সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে।

হাসপাতালের কোভিড বেড এবং সেফ হোমের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়ছে। পুরনিগম পরিচালিত সেফ হোমগুলির বেশিরভাগই প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হলেও ফের করোনার প্রকোপ বাড়ায় সেগুলি চালু করার কথা জানিয়েছেন মেয়র। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কোভিড বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট