একদিকে লাগাতার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে করোনা -বাসের ভাড়া বাড়ুক চান বাস মালিকরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আর পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি দুইয়ের খাড়ায় সবথেকে খারাপ অবস্থা রাজ্যের বাস মালিকদের। আর তাই এই মুহূর্তেই বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অনড় রয়েছেন বাস মালিকরা। ডিজেলের দাম প্রায় প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে।
বর্তমানে করোনার কারণে বাস চলছে অর্ধেক। অনেক রুটে যাত্রী নেই বললেই চলে। ফলে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করছেন বাস মালিকরা।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি বাস ভাড়া না বাড়ালে গাড়ি চালানো দিন দিন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। গত বছর থেকে এই পরিস্থিতি চলছে। তার উপর প্রায় প্রতিদিনই ডিজেলের দাম বাড়ছে। তাই বাসভাড়া বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
রাজ্যের নতুন পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্যে ইলেকট্রিক বাস পরিষেবা বাড়ানোর কথা বলেছেন। মূলত দূষণের পাশাপাশি খরচও কমবে। বেসরকারি বাস মালিকরাও যাতে ইলেকট্রিক বাস বেশি করে নামায় তাতে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার।
বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা নিশীথ-জগন্নাথের, ২ হাজারের কম ভোটে হারা আসনে পুনর্গণনার দাবি দিলীপ ঘোষের
বেসরকারি বাস মালিকদের বক্তব্য, ইলেকট্রিক বাসের দাম অত্যন্ত বেশি। সেইসঙ্গে পরিকাঠামো এখনো তৈরি হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার আগেও বহুবার ইলেকট্রিক বাস বেশি করে চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।বায়ো ডিজেল ও সিএনজিতে গাড়ি চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। সবই খাতা-কলমে রয়ে গিয়েছে। ইলেকট্রিক বাস চালাতে গেলে যে ধরনের পরিকাঠামো দরকার তৈরি করতে অনেক সময় লাগবে। তৈরি করার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে। তাছাড়া ইলেকট্রিক বাস কেনার মত আর্থিক ক্ষমতা এখন তাদের নেই।
তপনবাবুর বক্তব্য, “গতবছর বাস ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আমরা মুখ্যমন্ত্রী দ্বারস্থ হয়ে ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো সেই কমিটির কোনও রিপোর্ট পেশ করা হয়নি। আমরা চাই এই কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করুক। প্রতিদিন গাড়ি চালাতে গিয়ে কত আয়, কত ব্যয় হয় আমাদের, সবই আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি পরিবহন দফতর ও রাজ্য প্রশাসনকে। তাই সরকার এসব খতিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবে বাস চালাতে গিয়ে কিভাবে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বাস মালিকদের।”
তপন বাবুর আরও বক্তব্য,” সরকারি বাস চালাতে গিয়ে ডিজেল কিনতে না পারায় বাস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ভলভো গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি ভর্তুকি সত্বেও সরকারি পরিবহনের যদি এই হাল হয় তাহলে আমাদের কথা ভাবুন! আমাদের তো কোনো গৌরীসেন নেই যে টাকাটা লোকসান হলেও দেবে।