তোর্সার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীনদের পাশে কোচবিহার ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত ২০ জুলাই থেকে কোচবিহার তোর্সা নদীর ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। ইতিমধ্যেই কোচবিহার 18 নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।

ভাঙ্গনের কবলে 16 নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি বাড়ি। নদীর জল স্রোতের কারণে ভাঙ্গনের প্রকোপে নাজেহাল এলাকাবাসী। এলাকাবাসীরা নিজেদের বাড়ি নিজেরাই ভেঙে নিয়ে পার্শ্ববর্তী তোর্ষা নদীর বাঁধ সংলগ্ন রাস্তায় উঠে এসেছে।

এলাকাবাসীর কথায় এইভাবে ভাঙন চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ এলাকা নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। বর্তমানে এলাকার প্রায় কয়েক শতাধিক এর উপর বাড়ি ভাঙ্গন কবলিত। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন তাদের বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। একদিকে করোনা মহামারীর প্রকোপ অপরদিকে নদী ভাঙ্গন মানুষ কিভাবে বাঁচবে। লকডাউন এর কারণে বেশ কিছুদিন থেকেই রোজগার বন্ধ হয়ে রয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের।

কারণ, এলাকার বাসিন্দারা বেশির ভাগই দিনমজুর। এই পরিস্থিতিতে তাদের জীবন ধারণ করায় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা বলেন সোমবার রাত থেকে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে বহু বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবছর মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়।

নবান্নে ফের করোনার থাবা, চলতি সপ্তাহে ৩ দিন বন্ধ রাজ্য সরকারের প্রধান কার্যালয়

তোর্সা নদী সংলগ্ন 16, 18 ও 19 নম্বর ওয়ার্ডের প্রচুর মানুষ নদীর চরে বসবাস করেন। প্রতিবছর ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষরা সর্বস্বান্ত হয়, কেউ দেখতে আসে না বলেই অভিযোগ তাদের।

এমতাবস্থায় এই সর্বসান্ত পরিবার গুলির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন। এই পরিষেবা তাদের ১০ দিন থেকে চলছে।

ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশনের এর সম্পাদক রাজা বৈদ্য বলেন, বছর তিন থেকে কোচবিহার রানিবাগান এলাকায় মাসান সন্নিকটে একটি শিশুদের জন্য বিডিও পাঠশালা রয়েছে। যেখানে শতাধিক দুস্ত শিশুরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ও পঠন-পাঠনের সাথে নিজেদের যুক্ত থাকে।

নদীর ভাঙ্গনের বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই কোচবিহার জেলা তৃতীয় লিঙ্গ এসোসিয়েশন আজ ও বিডিও ফুড ATM পরিষেবা প্রদান করলো ।

বিডিও ফুড ATM পরিষেবা প্রদান করতে আজ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃতীয় লিঙ্গ অ্যাসোসিয়েশনের কর্ণধার চাঁদনী বিশ্বাস ।

চাঁদনী বিশ্বাস বলেন এই পরিষেবা প্রতিদিন চলবে, যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যদি কেউ সহযোগিতা করেন তাহলে যোগাযোগ করবেন বিডিও ফুড এটিএম পরিষেবার সাথে । আজ আমরা কিছু মানুষ যে মাছ ভাত ডাল খাওয়ালাম ।

সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং করোনা মুক্ত সমাজ তৈরি করবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট