করোনা আতঙ্কে তলানিতে ঠেকেছে সেনসেক্স

ভারতে সেনসেক্স পড়ল এক ধাক্কায় ৮০৬.৮৯ পয়েন্ট। নিফ্‌টি ২৫১.৪৫।সূচক দু’টি যথাক্রমে ৪০,৩৬৩.২৩ ও ১১,৮২৯.৪০ অঙ্কে এসে থামল। 

দ্য কোয়ারি ডেস্ক- করোনার করাল গ্রাসে শুধুমাত্র চিন নয়,পরোক্ষভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ।

দক্ষিণ কোরিয়া, ইটালি ও ইরানে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রামাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে শুনেই অশনি সংকেত দেখা দিল বিশ্ব বাজারে। 

সোমবার বিশ্বের সব দেশের শেয়ার বাজার পতন দেখা দিল । যদিও বেশ কিছুদিন ধরেই করোনা আতঙ্কে একরকম মন্দার আবহ ছিল বাজারে । 

করোনা আতঙ্কে তলানিতে সেনসেক্স

তবে সোমবার তা মারাত্মক আকার ধারণ করে । ভারতে সেনসেক্স পড়ল এক ধাক্কায় ৮০৬.৮৯ পয়েন্ট। নিফ্‌টি ২৫১.৪৫। 

সূচক দু’টি যথাক্রমে ৪০,৩৬৩.২৩ ও ১১,৮২৯.৪০ অঙ্কে এসে থামল। 

যার জেরে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৩.৭১ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার মূলধন হারাল বিএসই-তে লগ্নিকারীরা ।

আরও পড়ুন : #BUDGET_2020: “আচ্ছে দিন” -এর স্বপ্ন দেখছে ভারত

বিশেষজ্ঞদের দাবি, নানা কারণে এমনিতেই শ্লথ বিশ্ব অর্থনীতি । তাতে আগুনে কার্যত ঘি ঢালার কাজ করল করোনা ভাইরাস । 

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারও বা আইএমএফ সতর্ক করে বলেছে, করোনার জেরে বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো আরও কঠিন হতে পারে ।

ইতিমধ্যেই এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে চিনের অর্থনীতিতে । যার প্রভাব কাটাতে বেশ অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে ।

এমতাবস্থায় অন্যান্য দেশে ভাইরাসের প্রভাব বাড়লে, তা মারাত্মক আকার ধারণ করার সম্ভাবনা প্রবল ।

 অবস্থা সামলানোই কঠিন হবে। এ দিন ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারকে টেনে নামিয়েছে সেই আশঙ্কাই।

করোনা আতঙ্কে তলানিতে সেনসেক্স, ডলারের স্বাপেক্ষে পড়েছে টাকার মূল্য

ডলারের স্বাপেক্ষে পড়েছে টাকার দামও। এক লাফে ৩৪ পয়সা বেড়ে এক ডলারের বর্তমান মূল্য ৭১.৯৮ টাকা ।

তিন মাসের মধ্যে এতটা নীচে নামতে দেখা যায়নি টাকার দামকে।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমণের ভয় যে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আমদানি-রফতানির পথে বিরাট বাধা হতে পারে, তা পরিষ্কার।

আরও পড়ুন : গোপন করা হয়েছিল করোনা ভাইরাসের তথ্য, স্বীকারোক্তি চিনের

তার উপরে চিনের অর্থনীতি ধাক্কা খেলে, তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বে । যার রেস থেকে বাদ যাবে না ভারতও।

এছাড়াও পণ্য জোগান ব্যাহত হওয়ায় আর্থিক ক্ষেত্রে বড় মাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

যার নেতিবাচক প্রভাব ইতিমধ্যেই দেশের শিল্প ক্ষেত্রে পড়তে শুরু করেছে । বিশ্ব জুড়ে ওই সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। 

মূলধনী বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, সমস্যার সমাধান হতে অনেকটা সময় লেগে যাবে । 

ফলে আগামী অর্থবর্ষেও অর্থনীতির বেহাল দশা কায়েম থাকবে । পরিস্থিতি ঘোরালো দেখে ভারতের বাজারে ফের শেয়ার বেচছেন বিদেশি আর্থিক লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ।

এ দিন সেই বিক্রির অঙ্ক ছিল ১১৬০.৯০ কোটি টাকা। 

সঙ্কটজনক পরিস্থিতে ভারতের পক্ষে একমাত্র সুখের কথা, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমা ।

করোনা আতঙ্কে চাহিদা কমায় ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম হয়েছে ব্যারেলে ৫৫ ডলার। 

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এতে দেশ কম দামে তেল কিনলে খানিকটা সুরাহা হবে ।

সম্পর্কিত পোস্ট