চম্পট দেওয়া করোনা আক্রান্ত রুগীর খোঁজ মিললো অশোকনগরে, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে অ্যাম্বুলেন্স থেকে পালানো করোনা আক্রান্ত রুগীর খোঁজ মিললো অশোকনগর থেকে। তাকে কার্যত পাকড়াও করে পুনরায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় করোনা আক্রান্তদের জন্য হাসপাতালে।

সোমবার রাত্রে বারাসাতের কদম্বগাছির করোনা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার সময় পালিয়েছিল ওই করোনা আক্রান্ত রুগী। আক্রান্তের খোঁজ পাওয়ার পরে  আতঙ্কিত মানুষেরা স্বস্তি পেল। সোমবার রাত্রে করোনা আক্রান্ত রুগীকে বারাসাতের কদম্বগাছি জেএনআরসি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে চম্পট দিয়েছিল।

তবে বারাসাত সংলগ্ন এলাকার মানুষের স্বস্তি মিললেও নতুন করে অস্বস্তি ও আতঙ্ক অশোকনগরে। প্রশাসন থেকে করোনা আক্রান্তের গতিবিধির রুট  ম্যাপিং করে রোগীর থেকে  সম্ভাব্য সংক্রমণের এলাকা ও মানুষদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে  স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে ব্যবস্থা।

জানা গেছে, আক্রান্তের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার সন্দেশখালির রামপুরে। আক্রান্ত একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকাকালীন তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে চিকিৎসার জন্য বারাসাতের কদম্বগাছিতে অবস্থিত করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

হাসপাতাল থেকে কিছু দূরে পীরগাছা বলে এক স্থানে পথের মধ্যে গাড়ি থামলে সেখান থেকে চম্পট দেয় করোনা আক্রান্ত। স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ঘটনার আকস্মিকতায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। রাত অব্দি তার সন্ধান না মেলায় এলাকায় ছড়িয়েছিল আতঙ্ক।

গুজব ছড়ায় একাধিক করোনা আক্রান্ত পালিয়েছে। পরে পুলিশ সুত্রে জানা যায়, একজনই পলাতক। বারাসাত জেলা  পুলিশ ( মুলত দত্ত পুকুর থানার পুলিশ ) বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তল্লাশি চালায়। অনভিপ্রেত ঘটনা যেমন রোগীকে দেখতে পেলে  মারধর না করা প্রভৃতি এড়াতে বেশ কিছু এলাকার আতঙ্কিত  স্থানীয় মানুষদের বোঝানোর দায়িত্বও নিতে হয় পুলিশকে।  পুলিশের কপালে চিন্তার ভাঁজ দূর হয় সোমবার গভীর রাতে আক্রান্তের সুলুক সন্ধান মিলতেই।

স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানা গেছে করোনা পজিটিভ রোগীর খোঁজ মিলেছে অশোকনগর থানার অন্তর্গত কচুয়া বাগপাড়া এলাকা থেকে। সে এক আত্মীয়র বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল। পুলিশ জানতে পেরে ওই রোগীকে ফের করোনা হাসপাতালে পাঠান।

শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ বঙ্গে দিকে ধেয়ে আসছে আম্ফান, দুপুর থেকে হতে পারে বৃষ্টি

সূত্র মারফত জানা যায়, ওই রোগী বেশ কিছুটা পথ গাড়িতে করে এবং বেশ কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে এসে ওই আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নেয়। স্বাভাবিক কারনে অশোকনগরের ওই এলাকায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত সোমবার রাত্রে ওই করোনা আক্রান্ত রুগী বারাসাত হাসনাবাদ শাখার  পিরগাছা ৬ নম্বর রেলেগেটের কাছ থেকেই গা ঢাকা দেয় । করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা চাউর হতেই উদ্বিগ্নতা বাড়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

স্বাস্থ্য দপ্তর এবং পুলিশ সুত্রে জানা গেছে সন্দেশখালির রামপুরের আক্রান্ত ওই যুবক অ্যাম্বুলেন্সের চালক। তার সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পরেই এদিন সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে করে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে সন্দেশখালি থেকে নিউটাউন,এয়ারপোর্ট, বারাসাত হয়ে  নিয়ে আসা হচ্ছিল বারাসত কদম্বগাছির হাসপাতালে।

অ্যাম্বুলেন্সের চালকের বয়ান অনুযায়ী পুলিশ জানতে পেরেছে টাকি রোড ধরে আসার সময় পিরগাছা রেলগেটের সামনে চালক রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে শৌচকার্য  করছিলেন। আর এই সুযোগে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যাক্তি চটজলদি গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়।

এরপরই চালক ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি  জানায়। তৎক্ষণাৎ চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অবশেষে গভীর রাতে করোনা আক্রান্তকে খুঁজে পেতেই  আতঙ্কের অবসান ঘটলেও সংশ্লিষ্ট এলাকা গুলিতে  রয়েছে অস্বস্তি ।

সম্পর্কিত পোস্ট