রাজ্যে করোনা আবহ : মুখ্যসচিবকে চিঠি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় করোনা চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে রাজ্যকে তুলোধোনা করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। এই রাজ্যে ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র।

করোনা চিকিৎসায় একাধিক ফাঁকফোকর তুলে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে এই রাজ্যে আশা আন্তঃ মন্ত্রক প্রতিনিধিদলের প্রধান।

রাজ্যে যে পদ্ধতিতে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে, একেবারেই সন্তোষজনক নয় বলে মত কেন্দ্রীয় দলের তদুপরি চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের। একইসঙ্গে প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম হারে বাংলায় করোনা চিকিৎসা হচ্ছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের সফর নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ ছিল রাজ্যের কেন্দ্র কিছু না জানিয়েই এ রাজ্যে দুটি আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রতিনিধি দল পাঠায় বলে দাবি রাজ্য সরকারেরর। তা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

এমনকি ক্ষোভ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে রাজ্যে আসার পর ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

অন্য দলটি কলকাতার বিভিন্ন অংশে ঘুরে পরিস্থিতি দেখার পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার পদ্ধতি ও ঘুরে দেখছেন। সম্প্রতি এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ তারা।

স্ক্রিনে নয়, পথে নেমেই কাজ করা বেশি পছন্দের বিরোধীদের জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় দলের প্রধান অপূর্ব চন্দন অভিযোগ, বাঙ্গুর হাসপাতাল ৩৫৪ জন আক্রান্তের চিকিৎসা চললেও মাত্র ১২ টি ভেন্টিলিটার রয়েছে।

এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দলের আরও অভিযোগ, বাঙ্গুর হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না। চারজন রোগী সঙ্গে তারা কথা বলে জেনেছেন ১৬ এপ্রিল তাদের নমুনা পরীক্ষা হলেও এখনো রিপোর্ট আসেনি।

রাজ্যে কোন এক করোনা আক্রান্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যাচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই তাই চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় দলের আরও অভিযোগ, বাঙ্গুর হাসপাতাল এ ভর্তি অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও এখনো তাদের রিপোর্ট হাতেই আসেনি চিকিৎসকদের।

রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় স্ক্রিনিংয়ের পদ্ধতি নিয়েও আপত্তি তুলেছে কেন্দ্রীয় দল. করুনা সংক্রমণ বেড়ে চললেও রাজ্যের ফিডিং অত্যন্ত কম হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় দলের।

এরই পাশাপাশি করোনাই মৃতের সংখ্যা নির্ধারণে রাজ্য সরকারের গঠিত ডেট অডিট কমিটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা।

কেন্দ্রীয় দলের প্রশ্ন, রাজ্যে অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রেও কি একই ধরনের কমিটি তৈরি করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট