করোনা আতঙ্কঃ সিল করা হল ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ স্মৃতি কলোনি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শহরের আরও একটা এলাকা সিল করে দেওয়া হল৷ এর আগে কলকাতার একাধিক এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে৷ এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল পঞ্চসায়র থানা এলাকার শহিদ স্মৃতি কলোনি৷

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার শহিদ স্মৃতি কলোনি সিল করে দেওয়া হয়েছে৷ এটি কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত তথা পঞ্চসায়র থানার অধীন৷ শহিদ স্মৃতি কলোনির সবকটি রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে৷

পুলিশের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় ঢোকা ও বেরনো যাবে না৷ মোতায়েন করা হয়েছে কমব্যাট ফোর্স৷

করোনার হটস্পট এলাকা হিসেবে এর আগেই সিল করে দেওয়া হয়েছে পূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশ। গত শুক্রবার রাজাবাজার, মানিকতলা, নারকেলডাঙা, কাঁকুরগাছি এলাকা সিল করা হয়৷

ওই সব এলাকায় মূল রাস্তা থেকে বিভিন্ন গলিতে প্রবেশ পুরোপুরি আটকে দিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। বাইরের কাউকে এলাকাগুলিতে ঢুকতে গেলে পুলিশের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ জেলায় প্রথম পৌরসভায় প্রবেশের আগে স্যানিটাইজ টানেল বসাল উত্তরপাড়া

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে নোভেল করোনা ভাইরাস। ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি।

মারণ জীবাণু প্রাণ কেড়েছে বিশ্বের লক্ষাধিক মানুষের। তাই হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করে কঠোর পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। কেন্দ্রের হটস্পট রাজ্যের তালিকায় কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, এই চারটে রাজ্য রয়েছে।

নারকেলডাঙা মেইন রোডও সিল করে দেওয়া হয়েছে। শহরে এই প্রথম কোনও বড় রাস্তা সিল করা হল। পাশাপাশি পূর্ব কলকাতার এই এলাকাগুলির বাজার অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷

পূর্ব কলকাতার লাগোয়া উত্তর কলকাতার মুক্তারাম স্ট্রিট, চোরবাগানের ২০টি লেনও বুধবার সিল করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করেছে পুলিশ।

গোটা এলাকায় মাত্র একটি এটিএম খোলা রয়েছে। বন্ধ সমস্ত দোকান।

প্রসঙ্গত, ‘হাওড়ার পরিস্থিতি খুবই স্পর্শকাতর’,শুক্রবার নবান্ন বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনই সংক্রমণ ঠেকানো না গেলে হাওড়ায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে, কলকাতায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বহু রাস্তা সাধারণ মানুষ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বা ভেতরে যাতায়াত করতে পারছে না। তৃনমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তাপস দাস ও সোমনাথ মল্লিকের নেতৃত্বে ওয়ার্ডের সমস্ত কর্মীরা সরকারের সব নিয়ম মেনে দিন রাত পাহারা দিচ্ছে।

এখন শোভাবাজার অঞ্চল সম্পূর্ণ লকডাউন মেনে চলছে । সঙ্গে চলছে মন্ত্রী শশী পাঁজার নেতৃত্বে ও সহায়তায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ।

সম্পর্কিত পোস্ট