করোনা মোকাবিলায় বেলেঘাটা আইউি কে দরাজ সার্টিফিকেট কেন্দ্রীয় দলের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে দরাজ সার্টিফিকেট পেল রাজ্য সরকার। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল পরিদর্শন করার পর হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা ও পরিকাঠমো নিয়ে রাজ্যকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কেন্দ্রের পাঠানো এই সেকেন্ড টিম।

বুধবার দুপুর একটা নাগাদ আচমকাই হাসপাতালে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। হাসপাতাল পরিদর্শনের পর ভিজিটরস বুকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবহার এবং পরিষেবার মান নিয়ে উচ্ছ্বসিত মন্তব্য লেখেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্য দুই চিকিৎসক অপরাজিতা দাশগুপ্ত ও লীনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেখানকার ভিজিটর্স বুকে লিখে এসেছেন, ‘হাসপাতালের কর্তারা খুব দ্রুত, বিশদ তথ্য দিয়েছেন, কারণ সব কিছু সম্পর্কেই তাঁরা অবহিত।’ ইতিমধ্যেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল দু’বার ঘুরে দেখেছেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা।

প্রথম দফায় সেখানে যায় অপূর্ব চন্দ্রের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় দল। তবে তাঁরা হাসপাতালের ভিতরে যাননি। দ্বিতীয় দফায় রাজ্যের ‘করোনা পারফরম্যান্স’ খতিয়ে দেখার ভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় দলেরই অন্য দুই সদস্য চিকিৎসক অপরাজিতা দাশগুপ্ত ও লীনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

শহরে সেতুগুলো বন্ধ , ঘুরে যেতে হচ্ছে পূর্ণ্যার্থীদের

এই দুই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, ‘বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, পরিকাঠামো এবং রোগীদের প্রতি যত্ন দেখে তাঁরা অভিভূত। তাঁদের কথায় বেলেঘাটা আইডির ‘সবই অসাধারণ।’ টালিগঞ্জ এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের পরিষেবার মানও আগের থেকে উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় দল।

উল্লেখ্য, এর আগে যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে এসেছিল তাঁদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত চরমে পৌঁছেছিল।

দু’সপ্তাহ কলকাতায় থাকার পর দিল্লি ফেরার আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র বলেছিলেন, মৃত্যুর হার গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি।

পরিসংখ্যানই ইঙ্গিত দিচ্ছে, রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা কম হয়েছে। নজরদারি দুর্বল। সংক্রমিতদের খুঁজে সঠিক ভাবে চিহ্নিতও করা হয়নি।

আর এই চিঠি পাওয়ার পরই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে বাংলার শাসক দল। তবে কেন্দ্রের সেকেন্ড টিমের সার্টিফিকেটে রাজ্য যে স্বস্তি পেল তা বলাই বাহুল্য।

সম্পর্কিত পোস্ট