বিধানসভায় করোনা সংক্রমণ, স্থগিত বাম-কংগ্রেসের কর্মসূচি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভার এক কর্মীর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলায় বৃহস্পতিবার থেকে ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন।
আগামী ২৭ জুলাই ফের খোলা হবে বিধানসভা। এদিকে আমফান দুর্নীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বিধানসভার লনে ধর্নায় বসার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর।
বুধবার রাত পর্যন্ত এই ধর্না হবে বলেই জানিয়েছিলেন মান্নানবাবু। কিন্তু রাতের দিকে বিধানসভা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানান অধ্যক্ষ। তাই মান্নান সাহেব জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কর্মসূচি বাতিল করছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, বিধানসভার যে টাইপিস্টের শরীরে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কয়েকদিন ধরেই তাঁর শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো নানান উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল।
নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর বুধবার রাতের দিকে বিধানসভা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণ বাঁচিয়ে কিভাবে দুর্গাপূজা ক্লাবগুলিকে ভাবতে বললেন মমতা
একই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত ওই কর্মীর সংস্পর্শে আসা ২২ জন কর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে এবং বিধানসভা সংক্রমণমুক্ত করা হবে।
সরকারি দফতরে বা সরকারি কর্মীদের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ এই প্রথম নয়। নবান্ন-সহ একাধিক দফতরে কর্মী এমনকি আমলারাও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন,এ রাজ্যে মোট ২৬৮ জন পুলিশকর্মী করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন।
৩০ জন চিকিৎসকও আক্রান্ত হয়েছেন করোনা চিকিৎসা করতে গিয়ে। রাজ্যে আক্রান্ত নার্সের সংখ্যা ৪৩। এছাড়াও ৬২ জন সরকারি কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।
সব মিলিয়ে এ রাজ্যে ৪১৫ জন কোভিড যোদ্ধা আক্রান্ত হয়েছেন সংক্রমণে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪০৩ জন।ইতিমধ্যেই ১২ জন কোভিড যোদ্ধা করোনায় মারা গিয়েছেন করোনায়।
এদিকে বিধানসভায় তাঁদের কর্মসূচি বাতিল ঘোষণা করার পর মান্নান সাহেব বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে।
তবে কর্মসূচি থেকে আমরা সরছি না। যে বিষয়গুলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম সেগুলি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হোক নাহলে অমাদের যৌথ অন্দোলনের পথে হাঁটাতে হবে।