গাড়ির মধ্যে বসেই মিলবে করোনা টিকা, এবার উদ্যোগ পুরনিগমের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আরও বেশী সংখ্যক মানুষকে করোনা টিকাকরণেরর আওতায় আনতে কলকাতা পুরনিগমের নয়া উদ্যোগ। শহরবাসীদের জন্য ড্রাইভ থ্রু ভ্যাক্সিনেশন পরিষেবার সূচনা করা হয়েছে পুুরনিগমের তরফে।
পুর ও পরিবহণ দফতরের যৌথ উদ্যোগেই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে।কলকাতার এক শপিং মলে শুক্রবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী তথা পুর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম।
পার্ক সার্কাসের কোয়েস্ট মল, বেলভিউ ও উডল্যান্ড হাসপাতালের সহযোগিতায় এই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে প্রতিদিন মোট তিন লক্ষ ও কলকাতা পুর এলাকার প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার কোয়েস্ট মলে শুরু হল এই ‘ড্রাইভ ইন ভ্যাকসিনেশন’ কর্মসূচি। গাড়ি নিয়ে এসে এখানে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে কো-উইন অ্যাপ থেকে ভ্যাকসিনেশনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
জন্মদিনে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতাকে শুভেচ্ছা মমতার
প্রতি গাড়িতে চারজন পর্যন্ত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের গাড়ি থেকে বের হতে হবে না। শুক্রবার সেখানে মোট ২৪৪ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই পুর নিগমের উদ্যোগে ৩ রা জুন থেকে শহরে শুরু হয়েছে ‘ভ্যাকসিন অন হুইল’ পরিষেবা। শুক্রবার সকাল থেকেই লেক মার্কেটের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে চলে ভ্যাকসিনেশন। লেকমার্কেট এবং লেক মলের দোকানদার, কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
এই পরিষেবা মূলত পাচ্ছেন ব্যবসায়ী, হকার, দোকানি, দিনমজুররা। তাঁদের ভ্যাকসিন দিতে বিশেষ বাস চালু করছে কলকাতা পুর নিগমে। ভ্যাকসিন মিলছে কোনও পূর্ব নথিভুক্তিকরণ ছাড়াই।
পুর নিগমের দাবি, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীরা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না। বলছেন, দোকান ছেড়ে আসা সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ তাঁরা রোজ হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করেন। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি।
পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। আগামী বছরের শুরুতেই কোভিড সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগেই কলকাতা শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের কোভিড ভ্যাকসিন দিতে বদ্ধপরিকর পুর নিগম।
ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস, সিদ্ধান্ত অধীর চৌধুরীর !
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, কলকাতায় ৩০ হাজার লোককে আমরা প্রতিদিন ভ্যাকসিন দিচ্ছি৷ কেন্দ্রের কাছে আমরা আরও ভ্যাকসিন চাইছি৷ দু-দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রের কাছে আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম। এখন আরও ৮.৬ কোটি ভ্যাকসিন চাইছি।
১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের জন্য আমাদের ওই টিকা চাই’’ সেইসঙ্গে তিনি জানান ১৭.২ লক্ষ দিয়ে ভ্যাকসিন কিনেছে রাজ্য। তার জন্য ৬০ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার।