করোনা আবহ : ২৮৪ বছরে প্রথম থমকে গেলো পুরীর রথের চাকা, হবে না প্রভুর স্নানযাত্রাও
রাহুল গুপ্ত
করোনা আবহে এই প্রথম ২৮৪ বছরের ইতিহাসে টানা হবে না পুরীর রথ ,হবেনা প্রভুর স্নানযাত্রাও। থমকে গেলো বিশ্বখ্যাত পুরীর রথযাত্রা উৎসব।
করোনা মহামারীতে বিধস্ত দেশ। অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। দিন যতই যাচ্ছে ততই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় এবছর আষাঢ়ে মাসে পুরিতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ঘোর সংশয়।
যেভাবে দিকে দিকে করোনা সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে, তাতে এত সহজে নিস্তার নেই মারণ এই অদৃশ্য ভাইরাসের কবল থেকে। যারফলে এবছর রথযাত্রার অনুষ্ঠান নিয়ে চিন্তিত ছিলো ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। অবশেষে সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। থমকে গেলো ২০২০ পুরীর রথের চাকা।
লকডাউনের একমাস পূর্ন হয়ে গেলেও আগামী ৩মে’র পরে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও অবদি কোনও স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি কেন্দ্রের তরফে।
আর এই অবস্থায়, ওড়িশার করোনা পরিস্থিতির কথা জানিয়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। মোদীকে তাঁর রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা জানানোর পাশাপাশি আসন্ন, পুরির জনপ্রিয় রথযাত্রা নিয়েও কথা হয়।
রেড জোন কলকাতার কন্টেনমেন্ট জোন ২২৭, কোন কোন এলাকা?
তবে পুরির এই সর্বকালের জনপ্রিয় রথযাত্রা এবছর স্থগিত থাকুক সেই বিষয়ে আগেই একমত হয়েছিল ওড়িশার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি।
কারন, এবছর রথের অনুষ্ঠান পড়েছে জুন মাসের ২৩ তারিখ। মাত্র দুমাস বাদে এই অনুষ্ঠান হলেও সেইসময় গোটা দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে দাঁড়াবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ফলে সেই সময় রথযাত্রা করলে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা,অসম্ভব।
কারন, প্রতিবছর এই রথযাত্রা উপলক্ষ্যে পুরিতে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি ভক্তের সমাগম হয়।ফলে তখন সকলের মধ্যে ব্যবধান রেখে চলা সত্যিই দুষ্কর।
এদিকে ওড়িশার বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস, বিজেপিও সরকারের কাছে এবছর রথযাত্রার অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছিল । এদিকে রথের আগে জগন্নাথদেবের স্নানের অনুষ্ঠান পালিত হয় পুরিতে। হবে না সেই স্নানযাত্রাও।
এই অনুষ্ঠান আগেই বাতিল করে দেওয়া হইছিলো বলে খবর। উল্লেখ্য , গত ২২মার্চ থেকেই সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পুরির জগন্নাথদেব মন্দিরের দরজা। শুধুমাএ মন্দিরের পুরোহিত দিয়েই পুজো করা হচ্ছে এই সময়।