#coronapdate আরোও ৩০ দিনের লকডাউনে আমেরিকা

শুরুর দিকে খুব একটা পাত্তা না দিলেও তার মূল্য দিতে হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে । স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন ।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক- চিনের উহানের পর ইউরোপের ইতালি । মারণ ভাইরাস করোনার গ্রাসে ক্রমশ লাফিয়ে বেড়েছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ।

দু জায়গায় তান্ডব চালানোর পর ভাইরাসের বর্তমান ভরকেন্দ্র আমেরিকা । ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ।

শুরুর দিকে খুব একটা পাত্তা না দিলেও তার মূল্য দিতে হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে । স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন ।

আমেরিকায় ৩০ দিনের লকডাউন

করোনার মতো মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া আর কোনও সমাধান নেই বলে জানালেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ।

প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন আরও একমাস দেশজুড়ে জারি থাকবে লকডাউন ।

[ আরোও পড়ুন : করোনা কবলিত স্পেন, অব্যাহত মৃত্যু মিছিল  ]

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন আমেরিকার পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ভাল । কিছুদিনের মধ্যেই দেশে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে ।

তবে মারণ ভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিল তাঁকে।

করোনার প্রভাবে আমেরিকার পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ । আক্রান্তের পরিসংখ্যানে ইটালি ও স্পেনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ।

দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ৪২ হাজার । মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪৮৪ জনের। করোনা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে নিউ ইয়র্কে ।

সঙ্কটজনক পরিস্থিততে কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন । প্রাথমিকভাবে ১৫ দিনের জন্য যে ‘সোশ্যাল ডিসটেন্স’ চালু করা হয়েছিল, তার মেয়াদ সোমবার শেষ হচ্ছে ।

করোনা মোকাবিলায় আমেরিকায় ৩০ দিনের লকডাউন

ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তারপর দেশের কিছু অংশে নিয়মকানুন শিথিল করা হবে । কিন্তু পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে লকডাউন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে চিকিৎসক অ্যান্টনি ফৌসির বিবৃতি ।

রবিবারই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, করোনার জেরে দেশের ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ও লক্ষাধিক সংক্রমিত হতে পারেন ।

[ আরোও পড়ুন : #CoronaUpdate করোনার জেরে বিশুদ্ধ হচ্ছে বায়ু ]

যদিও দেশে আক্রান্ত বা মৃত্যুর খবর নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি ট্রাম্প ।

কিন্তু জানা গিয়েছে, গত দু’দিনে মার্কিন মুলুকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ । শুধুমাত্র নিউ ইয়র্কেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫২ হাজার মানুষ ।

তবে ১ জুনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

উদ্বিগ্ন পরিস্থিতির মধ্যে কানাডা থেকে আমেরিকায় এসেছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেল ।

কিন্তু ট্রাম্প তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ ।

আপাতত দেশের জনতার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ।

সম্পর্কিত পোস্ট