অলিম্পিকের প্রাক মুহূর্তে মারাত্মক করোনা সংক্রমণ টোকিও শহরে
সুনামির মতো জাপান উপকূলে করোনার হানা
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: জন জীবনে করোনার ভয় প্রবল। সেটাই পুঞ্জিভূত ক্ষোভের আকার নিয়ে বড়সড় বিক্ষোভে ফেটে পড়ার দিকেই এগোচ্ছে। শুক্রবার অলিম্পিক শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে টোকিও শহরের করোনা চিত্র রীতিমতো আশঙ্কাজনক বলেই জানাচ্ছে জাপান টাইমস।
জাপানের এই বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রের রিপোর্ট, শুক্রবার সকালে টোকিও শহরে করোনা সংক্রমণের তালিকায় ১৩৫৯ জন এসেছেন। জাপানের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি বলছে ১৫ হাজারের বেশি মৃত। ৮৬ হাজারের অধিক আক্রান্ত।
অলিম্পিক আসরে আসা বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের কড়া স্বাস্থ্যবিধির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। তার পরেও সংক্রমণের চেহারা দেখে চিন্তার সুনামি ধেয়ে আসছে জাপান উপকূলে।
করোনার লাল চোখ সর্বত্র। তবে করোনাকে চ্যালেঞ্জ করেই বিশ্বজোড়া আশার বার্তা দিতে মরিয়া অলিম্পিক কমিটি। সেই কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দর্শক ৯০০ জনের মতো রাখা হয়েছে। অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মশাল প্রজ্জলিত করা হবে।
পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে সেই আশঙ্কায় টোকিও শহরের চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে জড়িতদের বিক্ষোভ থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। অলিম্পিক বন্ধ করার দাবিতে এরা অনড়। টোকিওর বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ছোট ছোট জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
অভিযোগ উঠেছে, খোদ অলিম্পিক ভিলেজেই করোনা সংক্রমিত বহু। তাদের মধ্য দিয়ে সংক্রমণ আরও ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।জাপানবাসীর বেশিরভাগ আগে থেকেই অলিম্পিক বন্ধের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। পরে অলিম্পিক কমিটির চাপের মু়খে সরকার রাজি হয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান করতে। এই অনুষ্ঠান ঘিরেই চলছে বিক্ষোভ।
এদিকে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা আসতে শুরু করেছেন টোকিও শহরে। জাপান সরকার বিশেষ নজর রাখছে মায়ানমার ও আমেরিকান প্রতিযোগীদের দিকে। করোনার ডেল্টা বা ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্টের অতি দ্রুত সংক্রমণ হওয়ার কারণে বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়া। অলিম্পিকে আসা এই দেশের প্রতিযোগীরাও থাকছেন বিশেষ নজরদারির আওতায়।