#Coronavirus: অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি বিধানসভা, পিছিয়ে গেল স্কুল বন্ধের দিন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতিতে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন আগামী বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকছে।

বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সভায় একথা ঘোষণা করেন। এর আগে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় সর্বদলীয় বৈঠক হয়।

এদিকে, অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তকে বিরোধীরা একতরফা বলে অভিযোগ করেছেন।

বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, বিধানসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি না করে তারা আগামী ৩০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অধ্যক্ষকে তাঁরা পরিস্থিতি অনুযায়ী এরপর সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ জানালেও তা মানা হয়নি।

আরও পড়ুনঃ #CoronaVirusOutbreak,রাজধানী এক্সপ্রেসে করোনা, ট্রেন থামিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা রাশিয়ান দম্পতির

বাম পরিষদীয় দলনেতা ডঃ সুজন চক্রবর্তীও অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সরকার বিধানসভাকে এড়িয়ে গেল।

করোনার কোপে পিছিয়ে গেছে রাজ্যের পুরসভা নির্বাচনও। এপ্রিল নয়, সম্ভবত জুনের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আজ সর্বদল বৈঠকে একথা ঘোষণা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

তৃণমূল ও বিরোধী দলগুলির আবেদনে সিলমোহর দিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।

কমিশন সূত্রে খবর, হাওড়া ও কলকাতায় ভোট হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে। বাকি ১০০টি পুরসভায় জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোটগ্রহণ। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আপাতত সহমত প্রকাশ করেছে রাজ্যের সবকটি রাজনৈতিক দলই।

উল্লেখ্য, করোনার প্রকোপ থেকে রাজ্যকে রক্ষা করতে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। নিয়ন্ত্রণ জারি হয়েছে যে কোনো রকম জমায়েতের উপর। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিনা প্রচারে ভোট সম্ভব নয়।

সবদিক খতিয়ে দেখে ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছিল রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও। রবিবার রাতেই বিবৃতি জারি করে শাসকদল। সকল রাজনৈতিক দলগুলিও নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। সেইমতো আজ সর্বদল বৈঠকে তাঁদের ডাকেন নির্বাচন কমিশনার।

আরও পড়ুনঃ সাত মাস পর মুক্তি পেলেন ফারুক আবদুল্লাহ

অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার।

সোমবার, নবান্নের বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৩১ মার্চ নয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে।

একইসঙ্গে আইসিডিএস কেন্দ্র গুলিও বন্ধ থাকবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে চাল-ডাল।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রতিষেধক এখনও তৈরি হয়নি। এর একমাত্র ওষুধ প্রিভেনশন। পাশাপাশি বেসরকারী হাসাপাতাল গুলির কাছে তিনি অনুরোধ জানান, রোগী যাতে ফিরিয়ে না দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট