আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি বরদাস্ত নয়, হুঁশিয়ারী মুখ্যমন্ত্রীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিভিন্ন ক্ষেত্রের কর্মীদের রাজ্য সরকার বিশেষ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবান্নে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কোভিড মোকাবিলায় যেসব কর্মীরা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন সেই সব করোনা যোদ্ধাদের ঝুঁকি ভাতা হিসাবে ওই বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে। করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি কমাতেও তিনি এক নতুন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাউস স্টাফ, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাশাপাশি ডাক্তারির স্নাতক ও স্নাতোকত্তর পড়ুয়াদেরও করোনা মোকাবিলায় কাজে লাগানো হবে। তাদের ইনসেনটিভ সহ বিশেষ প্যাকেজ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি তাদের করোনা যোদ্ধা হিসাবে সরকারি সংংশাপত্র দেওয়া হবে। পড়াশোনা ও প্রশিক্ষণের সময় বাদে বাকি সময় তারা কাজ করতে পারবেন।
সরকারি মেডিকেল কলেজের ডাক্তারির ছাত্রদের অন্তত তিন বছর সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত থাকার অঙ্গীকারপত্র স্বাক্ষর করতে হয়।
এখনই খুলছে না সর্ববৃহৎ মৎস্য নিলাম কেন্দ্র দিঘা মোহনা
যেসময় তারা করোনা মোকাবিলায় কাজ করবেন সেই সময় ওই অঙ্গীকার পত্র থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন।
তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন,ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষতিপূরণ বণ্টন নিয়ে কোনরকম দূর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। রেশন বা ত্রাণ বণ্টন নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে সরাসরি স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আম্ফানে গৃহ হারাদের বাড়ি পুননির্মানের জন্য ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো হয়েছে।
ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কোন ফর্ম পূরণ করা বা কারো সুপারিশের প্রয়োজন নেই। তা স্বত্ত্বেও যদি এই সংক্রান্ত বা রেশন পাওয়া নিয়ে কোন অভিযোগ থাকে তা সরাসরি থানায় জানানোর তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন থানা গুলিকে এইসব অভিযোগ সরাসরি তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজে এইসব অভিয়োগ খতিয়ে দেখবেন।