কাউন্টডাউন শুরু, শনির সকালে ৯ টা থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে টিকাকরণ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। বুধবার থেকেই করোনার টিকা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে টিকা ।

শুক্রবার দিনভর কিভাবে বন্টন করা হবে তার রূপরেখা চলে। শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে প্রস্তাবিত কেন্দ্রগুলিতে টিকাকরনের কাজ।

টিকাকরনের জন্য উত্তরবঙ্গের জেলা হাসপাতাল নির্দিষ্ট জায়গা বানানো হয়েছে । স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে।

দার্জিলিং ছাড়াও কোচবিহার, জলপাইগুড়ি , কালিম্পং , আলিপুরদুয়ারের জন্য প্রতিষেধক পৌঁছে গিয়েছে। প্রস্তুতির মাঝেই কোউইন অ্যাপ না খোলার জন্য নাম নথিভুক্ত করাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে দার্জিলিং শহর উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলায়।

যদিও এর জন্য ইন্টারনেট ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তবে বিষয়টি তারা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/ninth-round-of-farmers-and-government-meeting-inconclusive/

প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল দার্জিলিংয়ের সাতটি কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঁচটি জায়গা এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে দুটি জায়গার বলে পাঁচটি কেন্দ্রে একটি করে জায়গাতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে থাকবে ওয়েব কাস্টিং এর ব্যবস্থা।

শনিবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে যাবে প্রস্তুতি। ন’টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাকরণ এর কাজ শুরু হবে। বেলা একটা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে টিকাকরণ এর কাজ সম্পর্কে খোঁজখবর নেবেন বলে জানা গিয়েছে। অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে দেশবাসী।

তবে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যের ৩৫৩ টি কেন্দ্রের বদলে ২০৪ টি কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি টিকাকরণের কাজ চলবে সপ্তাহের চারদিন। টিকাকরণের প্রক্রিয়াকে কেন শ্লথ হয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে কেন্দ্র থেকে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন এসেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম । পরবর্তী দফার ভ্যাকসিন কবে আসবে সে বিষয়ে এখনো কোনো কিছু স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি কেন্দ্রের তরফে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে টিকাকরণের প্রক্রিয়ার গতি শ্লথ করা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই জানিয়েছিলেন টিকাকরনের জন্য বাংলায় সরকারি এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ৫.৮ লক্ষ, আড়াই লক্ষ পুলিশকর্মী, ১.২৫ লক্ষ পুরোকর্মীর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন এসেছে তাতে এখনই সকলকে তা দেওয়া সম্ভব নয়।

সম্পর্কিত পোস্ট