সৌজন্যতা লঙ্ঘন করেছে কেরল সরকার দাবী রাজ্যপালের
কেরল সরকার সেই প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর ইস্যুতে তোলপাড় গোটা দেশ। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই সিএএ ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছে কেরালার বাম সরকার।
এনপিআর ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কেরল এবং বাংলা। এরই মধ্যে কেরল সরকারের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হওয়ার আগে সৌজন্যের খাতিরে সরকারের উচিত ছিল রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলা।
মঙ্গলবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেরল সরকার। কেরল সরকার সেই প্রোটোকল লঙ্ঘন করেছে, বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে কোণঠাসা করতে নাছোড়বান্দা পাকিস্তান
তিনি আরও বলেন, “আমি বলছি না কেরল সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ভুল। কারণ প্রত্যেকেরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার আগে সৌজন্যের খাতিরে সরকারের উচিত ছিল আমার অনুমতি নেওয়া”।
কেরল সরকারের ওপর গোঁসা করে রাজ্যপাল বলেন, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হওয়ার সত্ত্বেও সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে আমি জানতে পারলাম, সংসদে পাশ হওয়া আইনের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছে সরকার”।
গত ডিসেম্বর মাসেই সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। নতুন আইন অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রীষ্টান, শিখ, পারসী, বৌদ্ধ, ইসাই, জৈন ধর্মের মানুষ এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেনি সরকার। নতুন আইনে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ এনেছে কেরলের বাম সরকার।
শুধুমাত্র তাই-ই নয়, নতুন আইন সংবিধানের ওপর আঘাত এনেছে বলে দাবী বামেদের। সংবিধানে উল্লেখিত ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে এই আইন বলে দাবী করছে কেরল সরকার।
এবিষয়ে এখনও অবধি প্রায় ৬০ এর অধিক পিটিশন জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। ২২ শে জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সারা দেশের মধ্যে এনপিআর চালু হলেও বাংলা এবং কেরলে এনপিআর চালু করতে দেবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সূত্রের খবর, দুই রাজ্যে এনপিআর চালু হলে চরম বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রক্রিয়াটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
তবে এনপিআর মানা না হলে কেন্দ্রও সরকারের তরফে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রও সরকারের বিরিদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কেন্দ্রের ডাকা এনপিআর বৈঠকে যাবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।