কোভ্যাক্সিন নিয়ে শোরগোল, উদ্বিগ্ন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ Covid19 এর ভ্যাকসিন ১৫ অগাস্ট বাজারজাত হওয়ার ঘোষণার পরই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে ICMR। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই ICMR এর তরফে জানানো হয়, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হওয়ার পর ১৫ অগাস্টের মধ্যে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
করোনা প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন বাজারজাত হতে অন্তত পক্ষে ১ বছর ৩ মাস সময় লাগবে। এমনটা আগেই CTRI কে জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। সরকারী নির্দেশে সময়সীমা কমিয়ে ৫ মাসের মধ্যে বাজারজাত করলে কোভ্যাক্সিনের প্রয়োদ, ভাল-মন্দ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের ১২ টি হাসাপাতালকে বেছে নেওয়া হয়েছে কোভ্যাক্সিন পরীক্ষার জন্য। ভারত বায়োটেকের তরফে ১৩ জুলাই থেকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে চাইলেও ICMR চাইছে ৭ জুলাই থেকে এই কাজ শুরু করতে।
ফের অগ্নিগ্রাসে বড়বাজার, ক্যানিং স্ট্রিটের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন
এতেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা ৷ তাঁদের মতে, ছয় সপ্তাহের মধ্যে COVID-19 এর ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করা প্রায় অবাস্তব ৷ কারণ যাঁর উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে, তাঁর সুরক্ষা ও শারীরিক ক্ষমতা এত কম সময়ে বোঝা সম্ভব নয় ৷
প্রাথমিক পর্যায়ে ১১২৫ জনের উপর পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত বায়োটেক। তাদের মধ্য প্রথম ধাপে ৩৭৫ জনের উপর পরীক্ষা হবে।
কীভাবে পরীক্ষা করা হবে কোভ্যাক্সিন?
- ভ্যাকসিন: বিবিভি১৫২
- ডোজ়: ০.৫ মিলিলিটার
- কোথায়: ইন্টারমাস্কুলার ইঞ্জেকশন
- ডোজ: ২টি।
- ফারাক ১৪ দিনের
- প্ল্যাসিবো প্রভাব দেখার জন্যে—জেনভ্যাক (জাপানিজ় এনসেফ্যালাইটিস ভ্যাকসিন)।
- বয়স: ১২ থেকে ৬৫। শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের অনুমতি
- সময়: ১ বছর ৩ মাস লাগবে বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালস্ রেজিস্ট্রি-ইন্ডিয়া-কে জানিয়েছে ভারত বায়োটেক
- প্রথম পর্ব: ২৮ দিন। শরীরে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে কি না দেখে ফেজ় টু-তে সম্মতি
- দ্বিতীয় পর্বে নজর রাখা হয় শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির বিষয়টি। একই সঙ্গে প্রায় ১৯৪ দিন নজরে রাখতে হবে।
COVID-19 এর জন্য দেশে মোট সাতটি ভ্যাকসিনের উপর গবেষণা চলছে৷ এরমধ্যে ভারত বায়োটেকের একটি। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলার একটি ভ্যাকসিনের উপর গবেষণা চলছে৷ জাইডাসকে এসপ্তাহে ফেজ়-1 ও ফেজ়-2’য়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷