দেশজুড়ে বিনামূল্যে মিলবে করোনার ভ্যাকসিন, জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার অক্সফোর্ডের টিকা ছাড় পাওয়ার পর থেকেই প্রথম টিকা আসার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা দেশ। শনিবার সকাল থেকে দেশের ১১৬ টি জেলায় ড্রাইরান শুরু হয়েছে। মোট ২৫৯ টি শিবিরে চলছে এই প্রক্রিয়া। পশ্চিমবঙ্গের তিন জায়গায় বিধিনিষেধ মেনে শুরু হয়েছে প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে দেশজুড়ে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। এবিষয়ে ডিসিজিআইকে সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
In 1st phase of #COVID19Vaccination free #vaccine shall be provided across the nation to most prioritised beneficiaries that incl 1 crore healthcare & 2 crore frontline workers
Details of how further 27 cr priority beneficiaries are to be vaccinated until July are being finalised pic.twitter.com/K7NrzGrgk3— Dr Harsh Vardhan (@drharshvardhan) January 2, 2021
শনিবার দিল্লিতে একটি এলাকায় টিকার মহড়া খতিয়ে দেখতে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন। সেখানে গিয়েই এই ঘোষণা করেন তিনি। পরে টুইট করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন প্রথম ধাপে ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ২ কোটি কোভিড যোদ্ধাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পরে ২৭ কোটি মানুষ যাদের শরীরে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন তাঁদেরকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ “পাগলকে পাগল বলব না তো কী বলব? ক্নাস টু থ্রি পাশকে কী বলব?” – দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ খাদ্যমন্ত্রীর
রাজ্যের মধ্যে দত্তাবাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আমডাঙা এবং মধ্যমগ্রামের ইউপিএইচসি ৪ এ শুরু হয়েছে করোনা টিকার ড্রাই রান বা মহড়া। এই তিন জায়গায় ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে ডামি বা নকল টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট দুরত্ববিধি মেনে এবং পরিচয়পত্র দেখে নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের ৫ জন করে একটি দলের ভাগ করে তাঁদের টিকা দেওয়া হবে।
টিকায় অংশগ্রহণকারীদের আলাদা একটি ঘরে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সেখানে রয়েছেন ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, কেন্দ্র এবং রাজ্য স্বাস্থ্যবিভাগের প্রতিনিধিরা।
বিশেষ একটি সফটওয়্যার ‘কো-উইন’ এর মাধ্যমে গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখবে বিশেষজ্ঞ টিম। স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম পরিচয় সহ সমস্ত তথ্য ওই সফটওয়্যারে লেখা থাকবে। টিকা নেওয়ার পরেই স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে চলে যাবে এসএমএস। এরপর ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে পরবর্তী ভ্যাকসিন নেওয়ার দিনক্ষণ। এমনকি গণহারে টিকা দেওয়ার সময় কিভাবে টিকা দেওয়া হবে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হবে সফটওয়্যারে।