Covid 19- হাসপাতালে বাড়ানো হয়েছে শয্যা সংখ্যা, ভোট মিটলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হবে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভোট মিটলেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করা হবে বলে সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা প্রতিরোধে লকডাউন বা কারফিউ জারির সম্ভাবনা আপাতত খারিজ করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যবাসীকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন এদিন।
রাজ্য সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সবরকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন।
মালদায় আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, সংক্রমণ রোধে রাজ্য সরকার টাস্কফোর্স তৈরি করেছে। সেইসঙ্গে হাসপাতাল এবং সেফ হোমগুলিতেও শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিতেও করোনার চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, ১০০টি হাসপাতাল করোনার জন্য তৈরি রয়েছে। বেসরকারি ৫৮টি হাসপাতাল নেওয়া রয়েছে। তৈরি রয়েছে ২০০ সেফ হোম। সেখানে ১১ হাজার শয্যা রয়েছে। একই সঙ্গে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়া হচ্ছে। সরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে হবে। আতঙ্কে নয়, সচেতন থাকতে হবে। রাজ্যজুড়ে ৪০০ অ্যাম্বুল্যান্স কাজ করবে। যাঁদের প্রয়োজন তাঁরাই হাসপাতালে ভর্তি হন, যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁরা ভর্তি হবেন না।
১৮ বছরের উর্ধ্বে সকলেই পাবেন ভ্যাকসিন, ঘোষণা কেন্দ্রের
রাজ্য সরকারী অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ চালানো এবং সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে আগামীকাল থেকে গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন।
এই পরিস্থিতিতে বাকি তিন দফার ভোট এক দফায় করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি ফের আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তার নির্বাচনী কর্মসূচী সংক্ষিপ্ত করার কথা জানান।
সেই সঙ্গে তিনি আবারও এরাজ্যে করোনা সংক্রমণের উর্ধগতির জন্য বাইরে থেকে ভোটের প্রচারে আসা নেতা – নেত্রী ও অন্যান্য লোকেদেরই দায়ী করেন।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে পয়লা মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সের সকলেই পাবেন কোভিড ভ্যাকসিন। খোলা বাজারেও ওই দিন থেকে মিলবে টীকা।
করোনার মহামারীর পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আর কোন বড় সভা করবেন না বলে জানিয়েছেন। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, কোনো তারকা প্রচারকও আর কোনো বড় জনসভায় অংশ নেবেন না। আজ থেকে তার সব জনসভা বাতিল করা হয়েছে।