Corona : ২৫ মাস ধরে বন্ধ রবীন্দ্রভবন, চূড়ান্ত আর্থিক ক্ষতি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের করোনা (Corona) পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে এসেছে। ধীরে ধীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন অফিসের করোনা বিধিও শিথিল হয়ে পড়ছে। কোভিড পর্ব শুরুতে বন্ধ হয়েছিল বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনে সংগ্রহশালা। প্রায় ২৫ মাস ধরে রবীন্দ্রভবন বন্ধ থাকার জন্য প্রচুর পর্যটক এসে ফিরে যাচ্ছে এবং বিশ্বভারতীর বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে।

বিশ্বভারতীর (Biswabharati) একাধিক আধিকারিক বলেন, উপাচার্য ছুটি থেকে ফিরলে রবীন্দ্র ভবন খোলা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। জাতীয় উপাচার্য কবে ফিরবেন সেই নিয়ে তাদের ধারণা নেই। বিশ্বভারতীতে পর্যটকদের আকর্ষণের মধ্যে রবীন্দ্রভবন অন্যতম।

এখানেই রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath Tagore) পাঁচটি বাড়ি ছাড়াও বিচিত্রার বাড়ির দুটি তলায় রয়েছে সংগ্রহশালা। যেখানে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়ার স্মারক, তার নোবেল এবং তার ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী রয়েছে।

Petrol – Diesel Prices hike : মহার্ঘ্য জ্বালানি, সেঞ্চুরি ডিজেলের

সূত্রের খবর, রবীন্দ্র ভবনের পুস্তক বিপণীর  বই বিক্রির অর্থ  এবং আগত পর্যটকদের মাথাপিছু টিকিটের অর্থ মিলিয়ে বিশ্বভারতীর খাতে দৈনিক মোটা অংকের টাকা জমা হয়। রবীন্দ্রভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে।

Corona

দুর্গাপুজোর (Durgapujo) আগে থেকে বসন্ত উৎসব (Basanta Utsav) পর্যন্ত পর্যটকের সংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি থাকে। এ সময় সোমবার থেকে শুক্রবার কমবেশি দৈনিক গড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার পর্যটক আসেন। শনি ও রবিবার সেই সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার পর্যন্ত চলে যায়।

রবীন্দ্র ভবনের প্রবেশ মূল্য ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ৫০ টাকা, বিদেশি নাগরিকদের জন্য ৩০০ টাকা, ছাত্রদের জন্য ১০ টাকা। দৈনন্দিন টিকিট বিক্রির হিসেব অনুযায়ী সোম থেকে শুক্র পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ মূল্য বাবদ আয়ের হিসেব দাঁড়ায়  প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়।

শনি ও রবিবার তার সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। অবশ্য অনেকের মতে সংগ্রহশালার ভিতরে রাখা পুস্তক বিপণী থেকে বই বিক্রি বাবদ আয়ের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২৫ মাস ধরে বন্ধ থাকা রবীন্দ্রভবনের ক্ষতির অংক টা প্রায় ৭ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

অনেকেই প্রশ্ন তুলছে, বিশ্বভারতীর বিভিন্ন স্থাপত্য ও ভাস্কর্য সংরক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষ বারবার আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন সেখানে রবীন্দ্রভবন খোলা নিয়ে এত অবহেলা কেন? রবীন্দ্র ভবনের এক আধিকারিক জানান, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের দিকে রবীন্দ্রভবন একবার খোলার কথা হয়েছিল। সেখানে ব্যবস্থা হয় যে সীমিত সংখ্যক পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।

তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্র সমস্ত করোনা বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ায় সংগ্রহশালা খোলার একটা সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে। যদি এ সপ্তাহে রবীন্দ্রভবন খোলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় তবে এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পর্যটকদের জন্য রবীন্দ্র ভবন খুলে দেওয়া হতে পারে।” এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে কলকাতার জাতীয় সংগ্রহশালা খুলে গেলেও রবীন্দ্র ভবন খোলা নিয়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট