কোভিড সতর্কতাঃ বাড়ছে হাসপাতালে শয্যা, কমছে টেস্টের খরচ-ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সেই সঙ্গে যতই পুজো এগিয়ে আসছে ততই কেনাকাটায় ভিড় জমাতে শুরু করেছে আমজনতা।

সেই ভিড়ে বেশীরভাগ মানুষকেই মাস্ক বিহীন অবস্থায় দেখা গেল। ইতিমধ্যেই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুজো নিয়ে কল্পতরু ভূমিকা দেখালেও চিকিৎসক মহলে তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে।

সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রাজ্যবাসীকে কোভিড সংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অবহিত করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে যা জানালেন-

কমল বেসরকারী ক্ষেত্রে কোভিড টেস্টের খরচঃ

কোভিড পরিস্থিতিতে যাতে সর্বাধিক সংখ্যায় টেস্ট হয়, তার জন্য বেসরকারী ক্ষেত্র গুলিতে টেস্টের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।

রাজ্য সরকার কলকাতা সহ সব জেলায় বিনামূল্যে সরকারি টেস্টের ব্যবস্থা করেছেন। প্রত্যহ হাজার হাজার রোগী সরকারি খরচে বিনামূল্যে কোভিড টেস্ট করাচ্ছেন।

তবে কলকাতা ও শহরতলীর বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে টাকা দিয়ে টেস্ট করানোর ব্যবস্থা রয়েছে।

পুজোর আগে রাজ্য সরকার সেইসব প্রাইভেট টেস্টের খরচ আরো কমিয়ে আনতে চায় বৃহত্তর স্বার্থে। আগে টেস্টের মূল্য ছিল ২২৫০ টাকা। এখন সেই মূল্য হলো ১৫০০ টাকা।

কমাতে হবে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়াওঃ

রাজ্য সরকার ও কলকাতা পৌরসংস্থার বিনামূল্যে সকল কোভিড রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স পরিসেবা দিচ্ছে।

কোনো রোগী স্বাস্থ্য ভবন বা কলকাতা কর্পোরেশনের ফোন করে যেকোনো হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে কোভিড চিকিৎসার জন্য আসতে বা যেতে নিখরচায় এম্বুলেন্স পান।

তবুও কিছু মানুষ প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেনয এদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/central-government-launched-a-new-scheme-to-meet-the-demand-of-the-economy-during-the-festive-season/

তিনি বলেছেন অবিলম্বে পুজোর আগে  অ্যাম্বুলেন্স এর ভাড়া একটি ন্যায্য এবং সহনশীল স্তরে নামিয়ে আনতে হবে।

কারণ ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সের বিপুল পরিমাণ ভাড়া নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন অনেক রোগীর পরিবার। হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেকেই।

বাড়ছে শয্যা সংখ্যাঃ

অন্যদিকে পুজোর আগে কোভিড স্বাস্থ্যপরিসেবাকে আরও উন্নত করতে এবং বেডের সংখ্যা বাড়াতে রাজ্য সরকার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১০ অক্টোবর থেকে এএসআই(হাওড়াতে) চালু করা হয়েছে ৪৮ শয্যা।

এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে আরো ৫৬ টি শয্যা আজ থেকে চালু করা হবে। ৪৯৬ টি শয্যা আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে চালু করা হবে গোটা রাজ্যে।

এইভাবে পুজোর মরসুমে কোভিডের জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়ছে প্রায় ৬০০টি। তবে এগুলি সবই আইসিইউ/ এইচডিইজি বেড। বর্তমানে আছে ১২৪৭টি। বাড়ছে আরও ৫০ শতাংশ।

চিকিৎসকদের বার্তাঃ

যে সকল ডাক্তার একা চেম্বার করেন কিন্তু স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপুল অবদান রাখেন এবং পাড়ায় পাড়ায় পরিষেবা দেন সেই সমস্ত ডাক্তারদের অবাধ ভাবে মানুষের পরিষেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রাজ্য সরকার।

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁদের ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টের খুঁটিনাটি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করা হবে। যাতে এরা সহজ এবং স্বচ্ছন্দভাবে নির্ভয় রোগীদের পরিষেবা দিতে পারেন।

নিয়োগ করা হবে নার্সঃ

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতলে ২৪৭৫ জন নার্স শীঘ্রই নিযুক্ত করা হচ্ছে, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির স্বার্থে।

ছুটি বাতিলঃ

রাজ্যজুড়ে প্রশাসনের সর্বস্তরের জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অফিসার ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তারা ছুটি পেয়ে যাবেন।

কন্ট্রোল রুমঃ

এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পুজোর সময় নবান্নে ২৪ ঘন্টা ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার জন্য বেশ কিছু নম্বর দিয়েছেন, সেগুলি হল –১০৭০,২২১৪,৩২৫৬ ।

সম্পর্কিত পোস্ট